বুধবার যারা অবরোধ করেছিলেন তারা কেউ মতুয়া নন, দাবি মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতির
অসমে NRC ইসুতে গত ১ অগাস্ট যাঁরা পশ্চিমবঙ্গে রেল ও পথ অবরোধ করেছিলেন তাঁরা কেউ মতুয়া নন। এমনকী যে সংগঠনের নামে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল তারও কোনও অস্তিত্ব নেই। দাবি সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরের। তাঁর দাবি, ভুয়ো সংগঠনের খাড়া করে অবরোধে সেদিন যা করা হয়েছে তাতে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে মতুয়া সম্প্রদায়ের রীতিনীতি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমে NRC ইসুতে গত ১ অগাস্ট যাঁরা পশ্চিমবঙ্গে রেল ও পথ অবরোধ করেছিলেন তাঁরা কেউ মতুয়া নন। এমনকী যে সংগঠনের নামে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল তারও কোনও অস্তিত্ব নেই। দাবি সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরের। তাঁর দাবি, ভুয়ো সংগঠনের খাড়া করে অবরোধে সেদিন যা করা হয়েছে তাতে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে মতুয়া সম্প্রদায়ের রীতিনীতি।
শুক্রবার কলকাতায় রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে প্রধানমন্ত্রীকে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন শান্তনু ঠাকুর। এর পর সাংবাদিক বৈঠকে শান্তনু ঠাকুর দাবি করেন, সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি তিনি। তাঁর সংগঠনের তরফে বুধবার কোনও কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি। যাঁরা অবরোধ করেছিলেন তাঁরা মতুয়া নন। শান্তনু ঠাকুরের দাবি, সেদিনের অবরোধের সময় ড্রাম ও কাঁসর পায়ের কাছে রাখা হয়েছিল। মতুয়া সম্প্রদায়ের কাছে এই দুই বাদ্যযন্ত্র অত্যন্ত পবিত্র। কোনও মতুয়া তা পায়ের কাছে রাখতে পারেন না।
শান্তনু ঠাকুরের আরও দাবি, সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসংঘ নামে যে সংগঠনের নামে অবরোধ করা হয়েছিল তার কোনও অস্তিত্ব নেই। ভুঁইফোড় এই সংগঠনের কোনও রেজিস্ট্রেশন আছে বলেও তাঁর জানা নেই।
মহারাষ্ট্রে গেরুয়া ঝড়! জোট করেও ভরাডুবি কংগ্রেসর, একাই বাজিমাত বিজেপির
অসমে NRC-র প্রতিবাদে গত ১ অগাস্ট উত্তর ২৪ পরগনা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পথ ও রেল অবরোধ করেন মতুয়ারা। বিজেপির অভিযোগ, এই অবরোধের পিছনে ছিল তৃণমূল। শান্তনু ঠাকুরের দাবি, মতুয়া মহাসংঘে এখন রাজনীতির কোনও জায়গা নেই। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা এই সংগঠনে উপদেষ্টার ভূমিকায় থাকলেও সংঘে তাঁদের ভূমিকা অরাজনৈতিক।
২০১১-য় বিধানসভা নির্বাচনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুরের বাবা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। গাইঘাটা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে মন্ত্রী হন তিনি। ২০১৪ সালে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে সাংসদ হন মঞ্জুলকৃষ্ণের দাদা কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর। কয়েক মাস পরেই মৃত্যু হয় কপিলকৃষ্ণের।
২০১৫ সালের মার্চে বনগাঁ লোকসভার উপনির্বাচনে কপিলের স্ত্রী মমতাবালাকে প্রার্থী করে তৃণমূল। যদিও মঞ্জুলের দাবি ছিল টিকিট দিতে হবে তাঁর ছেলে শান্তনুকে। দল দাবি না-মানায় মন্ত্রিত্ব ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন তিনি। এর পর শান্তনু বিজেপির টিকিটে উপনির্বাচনে লড়লেও হার হয় তাঁর। সেই থেকে রাজনৈতিক বৃত্তের বাইরে বাবা ও ছেলে।