ম্যাসাঞ্জোড় বাঁধে নীল-সাদা রং করার কাজ বন্ধ করল ঝাড়খণ্ড সরকার

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দাবি, বাঁধ ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত হলেও যেহেতু তার দেখভাল করে পশ্চিমবঙ্গ তাই তাদের পছন্দমতো রং করার অধিকার রয়েছে এরাজ্যের। পশ্চিমবঙ্গের দাবি মানতে নারাজ বিজেপি শাসিত ঝাড়খন্ড। তাদের দাবি, বাঁধটি ঝাড়খণ্ডে, তাই সেখানে কোনও অবস্থাতেই লাগানো যায় না পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লোগো। 

Updated By: Aug 3, 2018, 05:54 PM IST
ম্যাসাঞ্জোড় বাঁধে নীল-সাদা রং করার কাজ বন্ধ করল ঝাড়খণ্ড সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদন: মসাঞ্জোর বাঁধের রং নিয়ে ঝাড়খণ্ডের বাধার মুখে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দামোদর ভ্যালি করপোরেশনের অধীন ওই বাঁধে সম্প্রতি রঙের কাজ শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের সেচ দফতর। তাতে বাধা দিয়েছে বিজেপি পরিচালিত ঝাড়খণ্ড সরকার। পড়শি রাজ্যের সরকারের দাবি, বাঁধে করা যাবে না নীল-সাদা রং। এমনকী বাঁধ থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে বিশ্ববাংলার লোগো। 

সম্প্রতি ম্যাসাঞ্জোর বাঁধের সংস্কারে হাত দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সেচ দফতর। গোটা বাঁধকে নতুন রঙে সাজানোর কাজ চলছিল জোরকদমে। নীল-সাদা রঙে সাজছিল ৬ দশকের পুরনো এই বাঁধ। বাঁধ সংস্কারের জন্য ১.৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই টাকায় বাঁধের প্রবেশ পথে তৈরি করা হয়েছিল তোরণ। তাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নামের পাশাপাশি ছিল বিশ্ববাংলার লোগো। বাঁধের কাজ বন্ধের পাশাপাশি সেই নাম মুছে, লোগো খুলে লেখা হয়েছে ঝাড়খন্ড সরকার, লাগানো হয়েছে ঝাড়খণ্ড সরকারের লোগো। 

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দাবি, বাঁধ ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত হলেও যেহেতু তার দেখভাল করে পশ্চিমবঙ্গ তাই তাদের পছন্দমতো রং করার অধিকার রয়েছে এরাজ্যের। পশ্চিমবঙ্গের দাবি মানতে নারাজ বিজেপি শাসিত ঝাড়খন্ড। তাদের দাবি, বাঁধটি ঝাড়খণ্ডে, তাই সেখানে কোনও অবস্থাতেই লাগানো যায় না পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লোগো। 

অভিষেককে খুনের হুমকি, বিতর্কে বিজেপি নেতা

ঘটনায় তৃণমূল সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপি মুখপাত্র সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, বিজেপি সরকার নয়, বাঁধের কাজ রুখেছেন ঝাড়খণ্ডের স্থানীয় মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের সরকারি আধিকারিকরা সারা রাজ্যে নীল-সাদা রং করতে করতে যে কখন ঝাড়খণ্ডে ঢুকে পড়েছেন তা টের পাননি। তাই স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়েছেন। তাঁদের মনে রাখা উচিত ছিল অসমে যেমন তৃণমূলের একজনও কর্মী নেই, একই অবস্থা ঝাড়খন্ডেও। 

দুয়ের মধ্যে পড়ে অসহায় অবস্থা বাঁধের সংস্কারে নিযুক্ত শ্রমিকদের। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত হয় সেদিকে তাকিয়ে শ্রমিকরা। রং রাজনীতির প্যাঁচে পড়ে আপাতত বিশ্রাম নিচ্ছেন তাঁরা। 
    

.