Jalpaiguri: কোনও ভাতা-ই জোটে না! দোতারা বাজিয়ে জীবন সংগ্রাম প্রতিবন্ধী শিল্পীর...
Jalpaiguri: জোটেনি বার্ধক্য ভাতা থেকে শুরু করে শিল্পী ভাতা। প্রায় কুড়ি বছর ধরে সরকারি কোনও ঘর পাননি। তাই প্রতিবন্ধকতা জয় করেই পেটের টানে প্রবীণ বয়সেও ট্রেনে চেপে যাত্রীদের দোতরা বাজিয়ে গান শুনিয়েই চলছেন জলপাইগুড়ির গনেশ চন্দ্র সরকার।
প্রদ্যুৎ দাস: জোটেনি বার্ধক্য ভাতা থেকে শুরু করে শিল্পী ভাতা। প্রায় কুড়ি বছর ধরে সরকারি কোনও ঘর পাননি। এমনকী বঞ্চিত ১০০ দিনের কাছ থেকেও, অভিযোগ প্রতিবন্ধী শিল্পীর। তাই প্রতিবন্ধকতা জয় করেই পেটের টানে প্রবীণ বয়সেও ট্রেনে চেপে যাত্রীদের দোতরা বাজিয়ে গান শুনিয়েই চলছেন জলপাইগুড়ির গনেশ চন্দ্র সরকার।
দোতারা নিয়ে যাকে দেখছেন তিনি জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের মন্ডলঘাট এলাকার বাসিন্দা গনেশ চন্দ্র সরকার। ভালো মতন চোখেও দেখতে পান না। দীর্ঘ পচিঁশ - ত্রিশ বছর ধরেই ট্রেনের যাত্রীদের দোতারা বাজিয়ে গান শোনান। আর সেই গান শুনে যেসব যাত্রী মুগ্ধ হয়ে যা দান করেন সেটাই তার আয়। বাড়িতে মেয়ে থাকলেও বিয়ে হয়ে গিয়েছে, অন্যদিকে ছেলে থাকলেও দিন হাজিরায় ছেলের আয়ে সংসার চলে না। ফলে দীর্ঘ বছর ধরেই পেটের টানে এই দোতারা বাজিয়ে আসছেন গনেশ বাবু। বতর্মানে এটা তাঁর নেশাও বলা চলে।
আরও পড়ুন: Uttarpara: 'জন্মদিনে দীক্ষা নেব', চিঠি লিখে গৃহত্যাগী স্কুলপড়ুয়া ধরা পড়ল সাধু বেশে!
শারীরিকভাবে অসুস্থ না থাকলে নিত্য দিন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ট্রেন ধরেন তিনি। সেই ট্রেনেই দোতারা বাজিয়ে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন হয়ে কুচবিহার পৌঁছে যান তিনি। তবে আক্ষেপের সুরে প্রশ্ন করতেই বলেন, শিল্পী ভাতা পান না। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে জানিয়েও কাজ হয়নি। গনেশ বাবু চোখে কম দেখেন। তাই সরকারি ভাবে নূন্যতম প্রতিবন্ধকতার ভাতা পান। একশো দিনের কাজ পান না বলেও অভিযোগ করেন। এই অবস্থায় সরকারি ভাবে সাহায্যের আবেদন করেন গনেশবাবু।
পেটের টানে জীবন যুদ্ধে নেমেছেন গনেশ বাবু। শিল্পী ভাতা থেকে বঞ্চিত হলেও হার স্বীকার করেননি তিনি। বয়স হলেও ইচ্ছে থাকলে যে জীবন যুদ্ধে সফলতা পাওয়া যায় সেটাই তিনি প্রমাণ করলেন।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার সকালে জলপাইগুড়ি জেলায় এক গ্রামে এক প্রেমিক-প্রেমিকা যুগল একটি চা বাগানের পাশে জঙ্গলে একটি গাছের মধ্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়।
পরিবারের সদস্যদের কথায় দুজনেই নাবালক নাবালিকা। যদিও দুই পরিবারের মধ্যে কয়েকবার আলোচনা হয়। এটাও ঠিক হয় যে, প্রাপ্তবয়স্ক হলেই তাদের বিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তার মাঝেই এই ধরনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দুই পরিবারের সদস্যরা এদিন ময়নাগুড়ি থানায় আসেন। এই ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)