মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ সময়ে শেষ করেনি রাজ্য, রেলের বক্তব্য হাতিয়ার মালব্যর

নির্বাচনের আগে ব্রিজ উদ্বোধনের জন্য এই অযথা দেরি এবং টালবাহানা মানুষকে সমস্যায় ফেলছে" রেল রাজ্যের পর মাঝেরহাট সেতু নিয়ে এবার সরব অমিত মালব্য।

Updated By: Nov 27, 2020, 10:52 AM IST
মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ সময়ে শেষ করেনি রাজ্য, রেলের বক্তব্য হাতিয়ার মালব্যর

নিজস্ব প্রতিবেদন: "মাঝেরহাট ব্রিজ না খোলার বাহানাকে নস্যাৎ করে দিয়েছে পূর্ব রেলওয়ে। মমতার সরকার ব্রিজ তৈরির কাজ শেষ করতে না পারার সঙ্গে সঙ্গে বাধ্যতামূলক সুরক্ষা শংসাপত্র দিতে পারেনি এখনও। নির্বাচনের আগে ব্রিজ উদ্বোধনের জন্য এই অযথা দেরি এবং টালবাহানা মানুষকে সমস্যায় ফেলছে" রেল রাজ্যের পর মাঝেরহাট সেতু নিয়ে এবার সরব অমিত মালব্য।

মাঝেরহাট ইস্যুতে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে তুলকালাম চলছেই। ঝামেলা অব্যাহত। মাঝেরহাট সেতু দেরিতে চালুর অভিযোগ তুলে গতকাল তারাতলায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। পুলিস-বিজেপি নেতাকর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়েন বিক্ষোভকারীরা। পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিসও। 

এরপর এই ইস্যুতে পরে মুখ খোলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। তাঁর অভিযোগ, রেলের টালবাহানাতেই দেরি হয়েছে সেতুর কাজে। দায় তাই কেন্দ্রের। এদিনই মাঝেরহাট ব্রিজ নিয়ে পাল্টা আন্দোলনে নামে তৃণমূল কংগ্রেস। রেলের বিরুদ্ধে দেরির অভিযোগে প্রতিবাদ মিছিল হয়। 

আরও পড়ুন:  আজকের তৃণমূল সেই দল নয়, সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাই: TMC বিধায়ক মিহির

যদিও এই ইস্যুতে রাজ্যের দিকেই পাল্টা আঙুল তুলেছে রেল। তাদের অভিযোগ রাজ্য সরকারই নকশা বদল করেছিল, তা জমা দেওয়ার চার মাসের মধ্যে এবং তারপরও তাতে বহু জায়গায় ভুল ছিল আর জেরে এই দেরি বলে দাবি রেলের। রাজ্যের নকশা পরিবর্তন করার পর তাতে কম করে ২৯টি জায়গায় ভুল ছিল বলে অভিযোগ রেলের। 

রেলের আরও অভিযোগ বারবার ভুল সংশোধনের জন্যেও রেলকেই উদ্যোগ নিতে হয়, যার জেরে দেরি হয় নির্মাণকাজে। যদিও এনিয়ে সরকারিভাবে কিছু বলতে নারাজ রেল। ভোটের আগে বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে যাওয়ায়, এর মধ্যে ঢুকতে চান না রেলকর্তারা। তবে কাজে দেরির দায় তাদের, এই অভিযোগ একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছে রেল। 

অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌনে এক ঘণ্টার বক্তৃতার ছত্রে ছত্রে উঠে এল বিজেপি-বিরোধের চড়া সুর! তাঁর কথায় "মাঝেরহাট সেতুর কাজে দেরি হয়েছে কেন্দ্রের জন্য! ৯ মাস যখন রেল অনুমতি দেয়নি, তখন বিজেপি কী করছিল?  শুধু ফটো দেখানোর সুযোগ খোঁজে কেউ কেউ। নাম না করে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে তোপ দাগেন মমতা। বাংলায় বহিরাগতদের জায়গা নেই বলেও মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর!

বৃহস্পতিবার মাঝেরহাট সেতু চালুর দাবিতে বিজেপির কর্মসূচি ছিল। তা ঘিরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় তারাতলা চত্বর। পুলিসে বক্তব্য, অনুমতি না থাকায় বিজেপির এই ঘোষিত কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিস। তা নিয়ে প্রথমে বচসা, পরে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। শেষপর্যন্ত যা ভয়ঙ্কর রূপ নেয়।  
 
বিক্ষোভকারীদের হটাতে তাঁদের গ্রেফতার করে ভ্যানে তুলে দেয় পুলিস। এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটে পুলিসের লাঠিতে। জখম হন আরও বেশ কয়েকজন। অভিযোগ বিজেপির। ঘটনাস্থলে যান কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও। গেরুয়া শিবিরের দাবি, তাঁকেও গ্রেফতার করে পুলিস। পুলিসের অবশ্য দাবি, কৈলাসকে গ্রেফতার করাই হয়নি। তিনিই জোর করে ভ্যানে উঠে পড়েন। 

.