মিঠুনের পুজো সফরের শুরুতেই বিতর্ক, মিলল না সার্কিট হাউসে থাকার অনুমতি
উত্তরবঙ্গে একাধিক জেলায় পুজোর কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। প্রাক পুজো সম্মিলনিতে যোগ দিতে কলকাতা এসেছেন তিনি। বালুরঘাটের পাওয়ার হাউস এলাকার নিউটাউন পল্লী পাঠাগারে দুর্গা পূজার উদ্বোধন করতে আসার কথা মিঠুন চক্রবর্তীর। প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে কিন্তু হতাশ পূজা উদ্যোক্তারা। প্রশাসনিক ভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে আশ্বাস পাওয়া গেলেও শেষ মুহূর্তে এসে সার্কিট হাউস সহ জেলার কোনও হোটেল মিঠুন চক্রবর্তীর থাকার জন্য ঘর বুকিং না দেওয়ায় হতাশ পূজা উদ্যোক্তারা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মিঠুনের পুজো সফরের শুরুতেই বিতর্ক, মিলল না সার্কিট হাউসে থাকার অনুমতি। অন্যদিকে মিঠুন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, 'পুজোর আগে সবাইকে আগাম শুভেচ্ছা। সবাই ভাল থাকুন আনন্দে থাকুন'। উত্তরবঙ্গে একাধিক জেলায় পুজোর কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। প্রাক পুজো সম্মিলনিতে যোগ দিতে কলকাতা এসেছেন তিনি। পাশাপাশি বিজয়া সম্মিলনিতেও তিনি যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দক্ষিণ দিনাজপুরে সাংগঠনিক কাজে এবং একটি পূজা মন্ডপের পূজা উদ্বোধনের উদ্দেশ্যে আগামীকাল মিঠুন চক্রবর্তীর আসার কথা। কিন্তু প্রশাসনের তরফে সার্কিট হাউসে তাঁর থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এমনকি জেলার কোনও হোটেলও মিঠুন চক্রবর্তীর জন্য ঘর দিতে চায়নি বলে জানিয়েছে বিভিন্ন হোটেল কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে বিজেপি নেতৃত্ব মালদার গোল্ডেন পার্ক হোটেলে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বালুরঘাটের পাওয়ার হাউস এলাকার নিউটাউন পল্লী পাঠাগারে দুর্গা পূজার উদ্বোধন করতে আসার কথা মিঠুন চক্রবর্তীর। প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে কিন্তু হতাশ পূজা উদ্যোক্তারা। প্রশাসনিক ভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে আশ্বাস পাওয়া গেলেও শেষ মুহূর্তে এসে সার্কিট হাউস সহ জেলার কোনও হোটেল মিঠুন চক্রবর্তীর থাকার জন্য ঘর বুকিং না দেওয়ায় হতাশ পূজা উদ্যোক্তারা। কিন্তু যেকোনও মূল্যে মিঠুন চক্রবর্তীকে দিয়ে বালুরঘাটের এই পূজার উদ্বোধন করানো হবে, এমনটাই জানাচ্ছেন ক্লাবের সদস্যরা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তীর থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং তিনিই এই পূজোর উদ্বোধনে আসবেন।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Update: পুজোর আগেই সুখবর, ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই রাজ্যে
শনিবার প্রাক পুজো সম্মিলনির পরেই মিঠুন চক্রবর্তীর কথা ছিল বালুরঘাট যাওয়ার। বিজেপি-র রাজ্যও সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, 'এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তিনি বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান। এত ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড খুব কম অভিনেতা পান। তিনি একজন প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ। এরপরেও তাঁর সঙ্গে এই আচরণ এবং শুধু রাজনৈতিক কারণে তাঁর সঙ্গে এই রকম আচরণ করা হচ্ছে যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক'।