Taliban: তালিবান ভালো! 'আফগান মেয়েদের জুতোয় পা গলান', তমালকে কটাক্ষ তসলিমার
তমালের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন তসলিমা নাসরিন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আফগানিস্তান থেকে ভারতে ফিরে তালিবানদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তমাল ভট্টাচার্য। তালিবানি রাজে যখন আতঙ্কে সকলে তখন মাংসের দোকানে কাবাবে বেশি পরিমাণ মাংস দেওয়া হয়েছে বলে প্রশংসা করেন তিনি। তালিবানের প্রশংসায় তমালের উবাচে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তাজ্জব বনে যায় দেশবাসী।
ঠিক তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় তমালের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন তসলিমা নাসরিন। প্রকাশ্যে ফেসবুক পোস্টে বলে উঠলেন, 'তোমার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছে বলে তালিবান ভালো? তারা অন্যের সঙ্গে কী ব্যবহার করছে তা দেখে তো তাদের সম্পর্কে রায় দিতে হবে! আফগান মেয়েরা যদি বলে আমার জায়গায় দাঁড়িয়ে তালিবানদের সম্পর্কে মন্তব্য করো, তাহলে?'
আরও পড়ুন, Pandua: পিএইচই-র জলের জন্য গ্রামবাসীদের দেওয়া ৮ লাখ টাকা গায়েব, কিছুই জানেন না প্রধান!
সোশ্যাল পোস্টে বিস্ফোরক তসলিমা লেখেন, 'তমাল ভট্টাচার্য নামের এক বাঙালিবাবু আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তিনি দেশে ফেরার সময় তালিবান জঙ্গিদের সামনে পড়েছিলেন। তিনি তালিবানের সুমধুর ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে তাদের গুণগান গাইছেন এখন। তালিবান জঙ্গিরা ভোটে জিতে নয়, বন্দুকের নল ঠেকিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বসেছে। জঙ্গিরা ১,৪০০ বছরের পুরনো শরিয়ত আইন জারি করবে, শরিয়ত আইন কীভাবে মেয়েদের পাথর ছুড়ে হত্যা করে, মেয়েদের বোরখার অন্ধকারে বন্দি করে, স্কুল কলেজে যাওয়ার, উপার্জন করার, স্বনির্ভর হওয়ার অধিকার ছিনিয়ে নেয়, বাঙালিবাবুটি নিশ্চয়ই জানেন, তারপরও কী করে তিনি বলেন নব্বই দশকের তালিবান আর এখনকার তালিবানে বিস্তর তফাৎ! তাদের ব্যবহারে তিনি তফাৎ দেখেছেন। কিন্তু যে শরিয়ত আইনের অধীনে দেশ শাসন করতে তারা বদ্ধপরিকর, সেই শরিয়ত আইন তো একই আছে - নব্বই দশকে যা ছিল, এখনও তো তাই।'
খানিকটা তাচ্ছিল্যের সুরে লেখিকার অভিমত, 'ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে, পুট ইয়রসেলফ ইন মাই সুজ। তমাল যদি বাঙালি বাবু না হয়ে কোনও স্বাধীনচেতা আফগান মেয়ে হতেন, যে মেয়ে বোরখা বা হিজাবের শৃঙ্খল পছন্দ করেন না, তমাল ভট্টাচার্যের মতোই আন্তর্জাতিক ইস্কুলে শিক্ষকতা করতে চান, স্বর্নিভর হতে চান, তাহলে?'
প্রসঙ্গত, তালিবানের রাজত্ব কায়েম হয়েছে আফগানিস্তানে। এই আবহে সবথেকে বেশি আতঙ্কিত মহিলারা। ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে নানা রকম ফতোয়া। এরই মাঝে তমালের উল্টো সুর যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না সাধারণের।