Tapan Kandu Murder Case: ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে CBI তদন্তের দাবি, মঙ্গলবার হাইকোর্টে শুনানি
১৩ মার্চ খুন হন ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্য পুলিসে আস্থা নেই। তাই শুক্রবার রামপুরহাট কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতেই, হাইকোর্টের (Kolkata High Court) দ্বারস্থ হন ঝালদার নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর (Tapan Kandu) স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। স্বামীর খুনের (Tapan Kandu Murder Case) তদন্তভার যাতে সিবিআইয়ের (CBI) হাতে তুলে দেওয়া হয়, দাবি জানান তিনি। মামলাটি ইতিমধ্যেই গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার বেঞ্চে দ্রুত শুনানির আবেদন জানান পূর্ণিমা কান্দু। মঙ্গলবার মামলাটির শুনানি।
প্রসঙ্গত, ১৩ মার্চ খুন হন ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু (Tapan Kandu Murder Case)। খুনের ঘটনায় ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন পূর্ণিমা কান্দু। সামনে আসে তপন কান্দুর এক ভাইপোর সঙ্গে আইসির ফোনে কথোপকথনের একটি অডিয়ো। বিতর্কিত ওই অডিয়ো সামনে আসার পরই আইসিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন তপন কান্দু। কিন্তু নব-নির্বাচিত কাউন্সিলরকে কারা গুলি করে খুন করল? সেই প্রশ্নের মীমাংসা এখনও হয়নি।
এর মধ্যে এই খুনের তদন্তে সিট গঠন হয়েছে। পাশাপাশি, এক সাব-ইনস্পেক্টর সহ ঝালদা থানার ৫ পুলিসকর্মীকে 'ক্লোজ'ও করা হয়েছে। অভিযোগ, যেদিন তপন কান্দুকে ঘিরে ধরে খুব কাছ থেকে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা, সেদিন ঝালদা-বাগুমুন্ডি রাজ্য সড়কের নাকা চেকিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন ১ জন SI ৪ জন কনস্টেবল। ওই ৫ পুলিসকর্মীকেই 'ক্লোজ' করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে নিহতের ভাইপো দীপক কান্দুকেও।
কিন্তু কাউন্সিলর স্বামী খুন হওয়ার পর (Tapan Kandu Murder Case) থেকেই সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে আসছিলেন তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা। এরইমধ্যে রামপুরহাটের হিংসায় হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় শুক্রবার। তারপর নিজেই সিবিআই তদন্তের দাবি নিয়ে হাইকোর্টে যান পূর্ণিমা কান্দু। আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন, WB Assembly: 'বিধানসভা মারপিটের জায়গা নয়, এরা রোজ অসভ্যতা করে, মার্শালকেও মেরেছে': ফিরহাদ