দল চাইলে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে স্বাগত: Suvendu
'ভোটার পালিয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন মন্ত্রীরা পদত্যাগ করছে।'
নিজস্ব প্রতিবেদন: মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন, এবার তাহলে কি দলবদলও করবেন? রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rajib Banerjee) নিয়ে যখন জোর জল্পনা চলছে, তখন সদ্য প্রাক্তন বনমন্ত্রীকে বিজেপিতে স্বাগত জানালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। Zee ২৪ ঘণ্টাকে বললেন, 'কৈলাস বিজয়বর্গীয়জি ইতিমধ্যেই ওয়েলকাম জানিয়েছেন। বলেছেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো রাজনীতিবিদ, সৎ মানুষ বিজেপিতে এলে স্বাগত।' সঙ্গে অবশ্য যোগ করলেন, 'রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কোন দলে যাবেন, সেটা তাঁর মুখ থেকেই শোনাই ভাল।'
দিন কয়েক আগে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। এমনকী, তাঁর দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনাও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সঙ্গে বৈঠকের পর 'ব্রেক' কষেন শতাব্দী। কিন্ত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rajib Banerjee) ধরে রাখা গেল না। মাস দেড়েক ধরে বেসুরো থাকার পর, এদিন মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন ডোমজুড়ের বিধায়ক। বনমন্ত্রী ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিতে যোগ দেওয়া কি সময়ের অপেক্ষা? খোলসা করে কিছু জানাননি তিনি।
আরও পড়ুন: First Breaking: বালির বিধায়ক Baishali Dalmiya -কে বহিষ্কার করল TMC
এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘায় রোড-শো করেন শুভেন্দু অধিকারী। হুডখোলা জিপে দাঁড়িয়ে Zee ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'যাঁদের মধ্যে ন্যূনতম রাজনৈতিক জ্ঞান আছে, আত্মসম্মান আছে, তাঁরা ওই কোম্পানিতে (তৃণমূল) থাকতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়ারম্যান, আর তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র ম্যানেজিং ডিরেক্টর। ওটা কোম্পানি। কোম্পানিতে থাকতে গেলে কর্মচারী হয়ে থাকতে হয়।' রোড-শোর পর জনসভাতেও মন্ত্রীদের পদত্য়াগ নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। বলেন, 'ভোটার পালিয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন মন্ত্রীরা পদত্যাগ করছে। টিভি খুললেই পদত্যাগ। আমরা আহত। আর পারছি না। কে কর্মচারী হয়ে থাকতে চায়? রাজনৈতিক সহকর্মীর মর্যাদা চাই।'
আরও পড়ুন: ভোটের আগে এসপি বদল পুরুলিয়া-বীরভূমে
উল্লেখ্য, ভোটের মুখে 'বেসুরো'দের বাড়বাড়ন্তে অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলের অন্দরে। গত কয়েক দিন ধরেই সাংগঠনিক রদবদল-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন হুগলির উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। চন্দনগরে রোড-শো বিধায়ককে 'মুখ না খুলে সিদ্ধান্ত' নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।