Suvendu Adhikari: যাদবপুরের মৃত পড়ুয়ার বাড়িতে শুভেন্দু, আরও ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিসের!
পরিবারকে বিরোধী দলনেতার পরামর্শ, 'আদালতের নজরদারিতে যাতে তদন্ত হয়, তারজন্য বিচারব্যবস্থার সাহায্য নিন। যদি মমতা মনিটরিং হয়, তাহলে এর ফল হবে জিরো'।
কমলাক্ষ ভট্টাচার্য ও পিয়ালী মিত্র: 'সরকার চাপে আছে, তাই ৭-৮ জনকে গ্রেফতার'। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত ছাত্রের বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে বিজেপি বিধায়করা। পরিবারকে বিরোধী দলনেতার পরামর্শ, 'আদালতের নজরদারিতে যাতে তদন্ত হয়, তারজন্য বিচারব্যবস্থার সাহায্য নিন। যদি মমতা মনিটরিং হয়, তাহলে এর ফল হবে জিরো'।
আরও পড়ুন: JU Student Death: যাদবপুরের মৃত পড়ুয়া রাজনৈতিক লড়াইয়ের 'বোড়ে'? চিঠিতে মিলল সূত্র!
যাদবপুরকাণ্ডে তদন্তে নয়া মোড়। শুধু মানসিক নির্যাতনের “টার্গেট” নয়, প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়াকে রাজনৈতিক লড়াইয়ের 'বোড়ে' করতে চেয়েছিল অভিযুক্তরা। হস্টেলের ঘর থেকে যে চিঠি পাওয়া গিয়েছে, সেই চিঠিতে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। বাংলা বিভাগের এক ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে ডিনকে লেখা হয় সেই চিঠি। বাংলা বিভাগে অন্য রাজনৈতিক সংগঠনের প্রভাব রয়েছে। সেই প্রভাবই ভাঙতে মরিয়া ছিল সৌরভ চৌধুরী সহ অভিযুক্তরা।
এদিকে যাদবপুরকাণ্ডে নজরে আরও ৩ জন!পুলিস সূত্রে খবর, ২ জন প্রাক্তনী, আর ১ বর্তমান ছাত্র। এদিন ৩ জনকে যাদবপুর থানায় ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ধৃতদের জেরা করে ওই ৩ জনের নাম জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার সময়ে উপস্থিত ছিলেন তাঁরা।
এদিন রানাঘাটে যাদবপুরে মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'অরিত্র-কে লুকিয়েছে তৃণমূলের লোকেরা, অঙ্কন দত্তকে সরিয়েছে, মাদক পাচারকারী, তৃণমূলের একজন মন্ত্রী। দীপ বলে একজন গ্রেফতার হয়েছে, তার দাদা তাঁর নাম রাজশেখর, তিনি আইপ্যাকের একজন সিনিয়র এমডি। তাঁকে তদন্তকারী জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিলেন, ADCP শঙ্খশুভ্র বলে কেউ একজন আছেন, তিনি সরাসরি তদন্তকারী অফিসারকে বলেছেন, দীপের দাদাকে ডাকা যাবে না। কারণ, ও আইপ্য়াকের এমডি। এই যে হস্তক্ষেপগুলি হচ্ছে, আমার লোক-ওর লোক। এটা বন্ধ হয়ে যাবে। যদি বিচার ব্যবস্থা নজরদারিতে তদন্ত হয়'।
আরও পড়ুন: Dumdum: দমদমে স্ত্রী-মেয়েকে গলা কেটে খুন করে মধ্যমগ্রামে আত্মঘাতী প্রাক্তন সেনাকর্মী!
যাদবপুরকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ৯। ধৃতের তালিকায় যাদবপুরের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্ররা। শুভেন্দুর দাবি, 'এরা বাছাই করে করছে। ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, সেটা মেরামত করাটাই মূল লক্ষ্য। এদের মূল লক্ষ্য দোষীদের শাস্তি দেওয়া হয় নয়। খুবই বিপজ্জক'।