Sukanta Majumdar: জয়নগরে সুকান্তকে কালো পতাকা, গাড়িতে 'হামলা', ভাঙল গাড়ির ওয়াইপার!
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, আমার মনে হয় না সুকান্ত মজুমদারকে কেউ কালো পতাকা দেখাতে যাবে। দলের বহু নেতা এমন চড়া মাত্রায় হিন্দু-মুসলমানের রাজনীতি করছেন, বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন তাতে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে
তথাগত চক্রবর্তী: বিজেপির রাজ্য সভাপতির গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ। তাঁকে কালো পতাকা দেখাল শ'খানেক লোক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের মইপীঠের ঘটনা। রবিবার মইপীঠে একটি সভা করতে যান সুকান্ত মজুমদার। তখনই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় মানুষজন। জয়নগর ও কুলতুলি এলাকায় যেসব বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের সঙ্গে আজ দেখা করতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। সেসব সেরে তিনি যখন কলকাতায় ফিরছিলেন সেইসময় তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, জোর করে একশো দিনের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। সেই টাকা ছেড়ে দিতে হবে। সুকান্তর গাড়ি আটকে দেওয়ার চেষ্টা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় জয়নগর থানার পুলিস।
আরও পড়ুন-আগামিকাল প্রাইমারি টেট; কেউ কেউ পরীক্ষায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করছেন, বিস্ফোরক পর্ষদ সভাপতি
ওই ঘটনা নিয়ে কী বললেন সুকান্ত মজুমদার? বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, জয়নগরে যেসব বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে কলকাতায় ফিরছিলাম। বকুলতলা নতুনহাটের ৫ কিলোমিটার আগে আমাদের গাড়িকে ঘেরার চেষ্টা করা হয়। প্রথমে ওরা কালো পতাকা দেখায় বকুলতলা হাটের আগে। গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পারেনি। ওখানে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী, জেহাদি বাহিনী এসে গাড়ি ঘিরে ধরে। গাড়িতে লাঠি দিয়ে মারে। গাড়ির কাচ ভাঙার চেষ্টা করে। এক বা দুজন পুলিসকে আমরা দেখেছি। কোনওরকমে আমার নিরাপত্তারক্ষীরা আমার গাড়ি বের করে আনতে সমর্থ হয়। গৌভাগ্যবশত গাড়ির কাচ না ভাঙলেও ওয়াইপার ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যেসব পোস্টার দেখানো হচ্ছিল তা প্রিন্ট বের করে আনা হয়। তাই এই বিক্ষোভ আগে থেকেই পরকিল্পিত। ওরা বলছিল সুকান্ত মজুমদার জবাব দাও। মুখ্যমন্ত্রী চুরি করবে, আর জবাব দেবে সুকান্ত মজুমদার! এদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে লড়াই হবে।
ওই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, আমার মনে হয় না সুকান্ত মজুমদারকে কেউ কালো পতাকা দেখাতে যাবে। দলের বহু নেতা এমন চড়া মাত্রায় হিন্দু-মুসলমানের রাজনীতি করছেন, বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন তাতে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এটা দলের কোনও বিষয় নয়। তবে এনিয়ে খবর নেব। এখানকার নেতারা বলছেন, দিল্লিকে বলেছি টাকা আটকে দিতে। এরকম বললে মানুষ একশো দিনের টাকার দাবি করবেই।