ভাঙড়ে অশান্তির মূলে মুখ্যমন্ত্রী, সরাসরি আক্রমণ সুজনের
জমি আন্দোলনকারীদের সমাবেশ থেকে ভাঙড়ে অশান্তির জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই কাঠগড়ায় তুললেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। চাঁচাছোলা ভাষায় তাঁর অভিযোগ, ভাঙড়ের মানুষের রুটি-রোজগার কেড়ে নিচ্ছে সরকার। ভাঙড়ের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে অবরুদ্ধ করে রেখেছে রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় ভাঙড়ের মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছেন বলেও তোপ দাগেন সুজন চক্রবর্তী।
নিজস্ব প্রতিবেদন : জমি আন্দোলনকারীদের সমাবেশ থেকে ভাঙড়ে অশান্তির জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই কাঠগড়ায় তুললেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। চাঁচাছোলা ভাষায় তাঁর অভিযোগ, ভাঙড়ের মানুষের রুটি-রোজগার কেড়ে নিচ্ছে সরকার। ভাঙড়ের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে অবরুদ্ধ করে রেখেছে রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় ভাঙড়ের মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছেন বলেও তোপ দাগেন সুজন চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত মাস কয়েক আগে ভাঙড়ে অশান্তি ছড়ালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ভাঙড়ের মানুষ না-চাইলে ভাঙড়ে পাওয়া গ্রিড হবে না। পাওয়ার গ্রিড অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে। সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে আক্রমণ শানান সুজন চক্রবর্তী। বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেই শান্তি ফিরবে ভাঙড়ে।
এদিকে 'ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড হবেই' বলে বৃহস্পতিবার ফের একবার সাফ জানালেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। ভাঙড়ের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় কাশীপুর এলাকায় স্ট্র্যাটেজি বৈঠকে বসে তৃণমূল নেতৃত্ব। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদ, নান্নু হোসেন প্রমুখ। বৈঠক থেকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ভাঙড়ে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ করেন কাইজার আহমেদ। পাশাপাশি, জমি আন্দোলনকারীদের উপর জোর জুলম-সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ খারিজ করে দেন আরাবুল ইসলাম।
আরও পড়ুন, ভাঙা হাত জোড়া লাগাতে গিয়ে শিশুমৃত্যু, কাঠগড়ায় কলকাতা মেডিক্যাল
অন্যদিকে, আজ ভাঙড়ে জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির মিছিলের আগেই সকালে বেলঘরিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় সিপিআইএমএল নেতা রাজু সিংকে। মিছিলে যোগ দেওয়ার পথে বাগুইআটির চিনারপার্ক থেকে গ্রেফতার করা হয় ৭০-৮০ জনকে। আটকদের মধ্যে রয়েছেন যাদবপুর-প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও।