ঘরের মধ্যে হঠাৎই জ্বলে উঠছে আগুন, কারণ খুঁজতে ঘটনাস্থলে পুলিস ও যুক্তিবাদী সমিতি
এই ঘটনায় পরিবারের কোন সদস্য বা বাইরের কেউ যুক্ত থাকতে পারেন বলে মনে করছে বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'আগুন! লেগেছে লেগেছ লেগেছে লেগেছে আগুন!' হ্যাঁ, বিখ্যাত বাংলা গান। কিন্তু এই মুহূর্তে এই গান মনে পড়ে যাওয়ার কার্যকারণ সূত্রটি হল বাঁকুড়ার এক গ্রামে এক গ্রামবাসীর বাড়িতে হঠাত্ই আগুন জ্বলে ওঠার আশ্চর্যজনক ঘটনা। লোকমুখে এ কথা জেনে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে।
ঘটনাস্থল বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার মালিকোটা গ্রাম। প্রত্যন্ত গ্রামের একেবারে শেষপ্রান্তে প্রায় সত্তর বছরের পুরনো মাটির বাড়ি সুধাময় সিংহের। দুই ছেলে দুই পুত্রবধূ ও স্ত্রীকে নিয়ে সুধাময়ের সংসার। একই বাড়ির মধ্যেই প্রত্যকের আলাদা-আলাদা সংসার। সুধাময় ও তাঁর স্ত্রী আলাদা থাকেন। দুই ছেল-বৌমারাও একই বাড়িতে আলাদা আলাদা সংসার।
আরও পড়ুন: গঙ্গা থেকে ছিপেই উঠল ১৫ কেজির ভেটকি!
এর মধ্যে বড় বৌমা যে বাড়িতে থাকেন সেখানেই এই ঘটনা। সেই বাড়িতেই তিনমাস ধরে ঘটে চলেছে অদ্ভুত এই আগুন কাণ্ড-কারখানা।
পরিবারের দাবি, কোনও দিন দুপুরে কোনও দিন সন্ধ্যায় ওই বাড়ির মধ্যে বড় বৌমা যে ঘরে থাকেন সেই ঘরে বিছানায় বা আলনায় রাখা জামাকাপড়ে আচমকা আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটছে সকলের অজান্তেই। যখন ঘটছে তখন যে বাড়ি লোকজনশূন্য তা নয়, তথাপি এমন ঘটনা ঘটছে। আগুনের ভয়ে বাধ্য হয়েই ওই ঘর ছেড়ে অন্য বাড়িতে থাকা শুরু করেছেন বড় বৌমা ও তাঁর দুই শিশুকন্যা।
মনের বিশ্বাস অনুযায়ী, অশুভ কোনও কিছু ঘটলে তা নিবারণের জন্য বাড়িতে পুজোও করিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু আগুনের হাত থেকে রেহাই মেলেনি। শেষমেশ এই তাজ্জব ঘটনার কিনারা করতে কোতুলপুর থানায় খবর দেয় ওই পরিবার।
গ্রামের এক পরিবারের ঘরে এমন অস্বাভাবিক ঘটনার খবর পেয়ে আজ সোমবার গ্রামে গিয়েছিলেন বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির সদস্যরা। তাঁরা পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার ইততিহাস-তথ্য ইত্যাদি জানার চেষ্টা করেন। কথা বলেন গ্রামের মানুষের সঙ্গেও। সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করে এবং সকলের সঙ্গে কথা বলে বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির সদস্য সৌম্য়দীপ ঘোষ জানান, তাঁরা মনে করেন, আগুন লাগার পিছনে কোনও ভৌতিক বা অলৌকিক কাণ্ড নেই। এই আগুন মানুষের দ্বারাই সৃষ্ট। এই ঘটনায় পরিবারের কোন সদস্য বা বাইরের কেউ যুক্ত থাকতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কোতুলপুর থানার পুলিস।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন নিতে লম্বা লাইনে উধাও ন্যূনতম দূরত্ববিধি