চোর পুলিস! সোনার চোরাকারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার সাবইন্সপেক্টর

আসলে এসআই সঞ্জয় প্রধানই সেই কীর্তিমান অফিসার! বিদেশির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সোনার বিস্কুট পাচারে মূল অভিযুক্ত! পুলিসের অন্দরমহলে চোরাকারবারের এমন নাটের গুরুকে দেখে তাজ্জব দুঁদে গোয়েন্দারাও!

Updated By: Feb 7, 2018, 06:11 PM IST
চোর পুলিস! সোনার চোরাকারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার সাবইন্সপেক্টর

নিজস্ব প্রতিবেদন: কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! সোনার চোরাকারবারে জড়িত খোদ পুলিস! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ফাঁসিদেওয়ায়। গ্রেফতার বিধাননগর থানার সাবইন্সপেক্টর।

২৪ জানুয়ারি ২০১৮, প্রজাতন্ত্র দিবসের ঠিক দুদিন আগে ফাঁসিদেওয়ার বিধাননগর থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন ডিএসপি প্রবীর মণ্ডল। জানান, প্রচুর নকল সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেছে পুলিস। সফল অপারেশনের পিছনে কার হাত রয়েছে, তাও দেখিয়ে দেন সিনিয়র অফিসার। সে সময় নির্বিকার মুখে উর্ধ্বতনের কাছ থেকে কৃতিত্ব নিচ্ছিলেন এসআই সঞ্জয় প্রধান। তখনও কেউ টের পায়নি, আসল ভূত সর্ষের মধ্যেই লুকিয়ে!

আরও পড়ুন- রাজ্যপালের পদকে কলঙ্কিত করছেন কেশরীনাথ, অভিযোগ পার্থর

আসলে এসআই সঞ্জয় প্রধানই সেই কীর্তিমান অফিসার! বিদেশির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সোনার বিস্কুট পাচারে মূল অভিযুক্ত! পুলিসের অন্দরমহলে চোরাকারবারের এমন নাটের গুরুকে দেখে তাজ্জব দুঁদে গোয়েন্দারাও!

কিন্তু, ঠিক কী হয়েছিল?

২৩ জানুয়ারি ফাঁসিদেওয়া থেকে ৩০০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করে পুলিস। পরীক্ষা করে দেখা যায় সেগুলির বেশিরভাগই নকল। জানা যায়, নেপালের এক ব্যক্তি স্যাম্পল দেখে ৫০ লাখ টাকায় ডিল করেছিলেন। এরপর তদন্তে নেমে ছিরিং ভুটিয়া ও ইশান প্রধানের নাম জানতে পারেন গোয়েন্দারা। ছিরিং ও ইশানের ডান হাত সাগর প্রধানকেও গ্রেফতার করে পুলিস। আর এই সাগর প্রধানই হল সাব ইন্সপেক্টর সঞ্জয় প্রধানের ভাই।

সাগরই পুলিসকে জানায়, সোনা কারবারের নাটের গুরু তার দাদা সঞ্জয় প্রধান। ফাঁসিদেওয়ার যে বাড়িতে এসআই সঞ্জয় প্রধান ভাড়া থাকতেন, সেখানে হানা দেয় পুলিস। ছিরিং ও ইশান পালিয়ে যায়। উদ্ধার হয় তাদের ফেলে যাওয়া গাড়ি। গোয়েন্দাদের দাবি, সাগর জানিয়েছেন, সোনার বিস্কুট বাবদ ৫০ লাখ টাকা এসআই সঞ্জয়কে দিয়েছিলেন তিনি।

.