Ghost in School: মাঝরাতে কান্নার আওয়াজ, ভূতের আতঙ্কে হোস্টেল ছেড়ে পালাল পড়ুয়ারা
পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করতে বৃহস্পতিবার স্কুলে যান স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক কমলাকান্ত হাঁসদা। তাঁর অভিযোগ কিছু অসৎ মানুষ এইসব অপকর্ম করছে
অনুপ মুখোপাধ্যায়: কেউ বলছে দৌড়নোর আওয়াজ শুনে ঘুম ভেঙে গিয়েছে। কেউ বলছে দুমদাম আওয়াজে কান পাতা দায়। কেউ আবার অভিযোগ করছে গভীর রাতে কান্নার আওয়াজে কান পাতা যায় না। আতঙ্কে কেটেছে রাতের পর রাত। শেষপর্যন্ত হোস্টেল ছেড়ে চলে গেল পুরুলিয়ার কাশীপুরের জেকেএম গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রীরা। শিক্ষিকারা অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলেও কোনও কাজ হয়নি। হোস্টেল ছেলে চলে গিয়েছে অধিকাংশ ছাত্রী।
অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুস্মিতা কর্মকার সংবাদমাধ্যমে জানাল, রাত্রে কেউ দৌড়ালে যেমন শব্দ হয় তেমন শব্দ পাচ্ছিলাম। কান্নার আওয়াজও পাচ্ছিলাম। মোট দুদিন এমন কাণ্ড হয়েছিল। হোস্টেলে মোট ২৪ জন ছাত্রী থাকে। তার মধ্যে মাত্র ৪ জন ফিরেছে। বাকীরা হোস্টেল ছেড়ে চলে গিয়েছে। আর ফেরেনি।
আরও পড়ুন-NEET 2022 Results: মহিষাদলে খুশির হাওয়া, সর্বভারতীয় NEET-এ নজরকাড়া ফল দেবাংকিতার
এনিয়ে স্কুলের শিক্ষিকারা জানান, সেরকম বড় ব্যাপার কিছু নয়। কিছুদিন আগে হোস্টেলে মেয়েরা ভয় পয়েছিল। ওরা কিছু শুনতে পেয়েছিল বলছে। শিক্ষিত সভ্য মানুষ আমরা, ভূতে বিশ্বাস করি না। কিছু আওয়াজ পেয়ে ওদের মধ্যে একটা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ভয় থেকেই ওদের মধ্যে ভূতের গল্প ছড়িয়েছে। ওদের বোঝানো হয়েছে। ওরা আবার হোস্টেলে ফিরেছে।
পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করতে বৃহস্পতিবার স্কুলে যান স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক কমলাকান্ত হাঁসদা। তাঁর অভিযোগ কিছু অসৎ মানুষ এইসব অপকর্ম করছে। গোটা ঘটনায় প্রশাসন এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, কিন্তু এখনো মাত্র চার জন ছাত্রী ফিরে এসেছে হোস্টেলে, বাকিরা এখনো আতঙ্কে নিজেদের বাড়িতেই রয়েছে।