Jalpaiguri| Kanyashree: বাবা-মা বিজেপি করে তাই মিলবে না কন্যাশ্রী, মারাত্মক অভিযোগ স্কুলের বিরুদ্ধে
Jalpaiguri| Kanyashree: প্রধান শিক্ষক দীনেশ সিনহা টেলিফোনে জানান, পাশের এলাকার তৃণমূল নেতা রামেশ্বর রায় স্কুলে সাহায্য করেন কন্যাশ্রী ফর্ম ফিলাপ সহ আরও কিছু ক্ষেত্রে। তিনি এভাবে স্কুলের মধ্যে রাজনীতিকে জড়িয়ে দেবেন এটা কাম্য নয়।
প্রদ্যুত্ দাস: বাবা-মা বিজেপিকে ভোট দেয় তাই মিলবে না কন্যাশ্রী! এমনই অভিযোগ স্কুলের বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, স্কুলে কন্যাশ্রীর ফর্ম ফিলাপ করিয়ে দিয়ে, স্কুলের বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন এলাকারই এক তৃণমূল নেতা। এমনই সব অভিযোগে স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের ঘরে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা।
আরও পড়ুন-শক্তি সঞ্চয়ের জন্য কংগ্রেসের হাত ধরেছে সিপিএম; ওদের গোড়ায় গলদ, ব্রিগেডে বিস্ফোরক প্রভাস ঘোষ
জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের পানবাড়ি ভবানী উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা। অভিযোগ, দশম শ্রেণির ছাত্রী টুম্পা হাজরা স্কুলে কন্যাশ্রীর ফর্ম চাইতে গেলেই এলাকার তৃণমূল নেতা তথা ক্যাজুয়াল স্টাফ রামেশ্বর রায় তাকে বলেন,"তোমার বাবা-মা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে তুমি কন্যাশ্রী পাবে না।" অন্যদিকে এই ঘটনা চাউর হতেই টুম্পা হাজরার মা ও বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিভাবকরা স্কুলে এসে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে ও বিক্ষোভ দেখায়। তারা জানতে চান কেন বিজেপি করার অপরাধে কন্যাশ্রী পাবে না স্কুলের ছাত্রী?
টুম্বার মা মামনি হাজরা বলেন, আমার মেয়ে কন্যাশ্রী ফর্ম চাইতে গিয়েছিল। রামেশ্বর স্যার বলেন, তোদের বাবা-মা-রা কোথায় কোথায় ভোটে দিয়েছে জানি না। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছে হলে দেবেন, না হলে দেবেন না। ভোট কে কোথয়া দেব তা স্কুলে কেন আলোচনা হবে? আমরা যদি বিজেপি করি তা হলে কি তা অপরাধ নাকি? কন্যাশ্রীর টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য রামেশ্বর ৩ হাজার টাকা নিয়েছে।
প্রধান শিক্ষক দীনেশ সিনহা টেলিফোনে জানান, পাশের এলাকার তৃণমূল নেতা রামেশ্বর রায় স্কুলে সাহায্য করেন কন্যাশ্রী ফর্ম ফিলাপ সহ আরও কিছু ক্ষেত্রে। তিনি এভাবে স্কুলের মধ্যে রাজনীতিকে জড়িয়ে দেবেন এটা কাম্য নয়।
প্রশ্ন উঠছে কী করে নিয়ে বাইরের লোক সরকারি স্কুলের কাজ করেন? শাসক দলের নেতা বলে কি সব সম্ভব?
এদিকে, রামেশ্বর রায়ের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন অভিভাবকরা। তাদের দাবি, কন্যাশ্রী পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কারও কাছ থেকে ৩ হাজার, কারও কাছ থেকে ৯ জাহার টাকা নেওয়া হয়েছে। ওইসব কথা শুনে প্রধানশিক্ষক বলেন, এরকম হওয়া একেবারেই ঠিক নয়। কন্যাশ্রীর টাকা পাওয়ার জন্য কোনও ধরনের টাকা নেওয়া হয় না। ছাত্ররা ভর্তির সময়ে যে টাকা দেয় সেই টাকা খরচ করেই আমরা এইসব কাজ করি।
ওই অভিযোগ নিয়ে এলাকার তৃণমূল নেতা বলেন, গোটা রাজ্যে শিক্ষার জন্য যেসম প্রকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছেন তার জন্য কোনও টাকা নেওয়া হয় না। স্কুল শিক্ষাকদের মাধ্যমেই ক্য়াশ্রী ফর্ম ফিলআপ করা হয়। এরকম কোনও অভিযোগ থাকলে স্কুলের শিক্ষকরা তা দেখবেন। তারা প্রশাসনের সাহায্য নেবেন। দল কখনও এই ধরনের কাজ বরদাস্ত করে না। কন্যাশ্রী যাদের প্রাপ্য তারা সবাই কন্যাশ্রী পাবে। বিরোধীদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তারা প্রতিটা ক্ষেত্রেই এরকম অভিযোগ করছে।