Jalpaiguri: ঝড়ে ফের বিধ্বস্ত গোটা এলাকা! গাছ পড়ে গিয়েছে, বিদ্যুৎহীন বহু জায়গা, শেষ নেই ক্ষতির...
Jalpaiguri: ঝড়ে ফের বিধ্বস্ত ময়নাগুড়ি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। ময়নাগুড়িতে ঝড়ে গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কিছু এলাকা। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে বহু জায়গা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:মাত্র কয়েক মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড ময়নাগুড়ি ব্লকের বিভিন্ন এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়িঘর-সহ গাছপালা ও চাষজমি। আজ, শনিবার ভোরে কয়েক মিনিটের ঝড়ে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রচুর বাড়িঘর গাছপালা ইলেক্ট্রিকের পোল। বিভিন্ন জায়গায় ইলেক্ট্রিকের তার ছিঁড়ে গিয়েছে। কারও বা ছাদের উপরে গাছ পড়ে রয়েছে। বিভিন্ন রাস্তার উপরে গাছপালা এবং ইলেকট্রিক তার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। ফলে, বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচল বিঘ্ন ঘটে। একটি বাড়ির শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে ঝড়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
কিন্তু কিছুক্ষণের এই ঝড় লন্ডভন্ড করে দিয়েছে ময়নাগুড়ি ব্লকের বিভিন্ন এলাকা। ময়নাগুড়ি ব্লক-সহ ময়নাগুড়ি ওভারব্রিজ, সাহাপাড়া, বিডিও অফিস-সংলগ্ন, বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গাছ পড়ে অনেক ঘরবাড়ি ভেঙে যায়। ময়নাগুড়ি সিপিআইএম পার্টি অফিসের একটি পুরনো গাছ ভেঙে পড়ে পার্টি অফিসের উপরে। এর জেরে ভেঙে যায় পার্টি অফিসের কিছুটা অংশ।
কদিন আগেই এ অঞ্চলে ঘোর বর্ষা ও প্লাবনের চেহারা দেখা গিয়েছিল। এখনও সেভাবে বর্ষা শুরু হয়নি। নিম্ন চাপের প্রভাবে প্রাক্ বর্ষায় ডুয়ার্স-সহ উত্তরের পাহাড়ি এলাকায় শুরু হয়েছিল বৃষ্টি। মঙ্গলবার বিকেল থেকে উত্তর সিকিমের পাহাড়ি এলাকায় শুরু হয়েছিল প্রবল বৃষ্টি। রাত বাড়তেই ফুলেফেঁপে উঠেছিল পাহাড়ি ঝোরা ও নদীগুলি। সেই সব ঝোরা ও নদীর জলরাশি এসে পড়ে তিস্তায়। ফলে তিস্তার জলস্তর অনেকটাই বেড়ে যায়। রাত বাড়তেই সেই জলধারা তিস্তা দিয়ে বয়ে এসেছিল নিম্ন-অববাহিকা এলাকায়।
রিমালের প্রভাবে সিকিমে হওয়া ভারী বৃষ্টির জেরে মঙ্গলবার রাত থেকে তিস্তা নদীতে জল বেড়েছিল। রাতেই তিস্তা ব্যারেজ থেকে প্রায় ২ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। এর জেরে গতকাল, বুধবার তিস্তা নদীর জলস্তর বেড়ে যায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে অ্যালার্ট করা হয়। মাল ব্লকের বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের টোটগাঁও বস্তির কৃষিজমি ভরে গিয়েছে জলকাদায়। এই জলকাদায় আটকে পড়েছিল এক বড় হাতি। ভোরের দিকে মংপং জঙ্গল থেকে হাতিটি খাবারের খোঁজে টোটগাঁও এলাকায় এসেছিল। সকাল নাগাদ জঙ্গলে ফিরতে গিয়ে সে আটকে পড়ে তিস্তা নদী-সংলগ্ন টোটগাঁও এলাকার কৃষিজমির জল-কাদায়।
প্রাক্ বর্ষায় ডুয়ার্স-সহ উত্তরের পাহাড়ি এলাকায় শুরু হয়েছিল বৃষ্টি। এতে তিস্তার জলস্তর অনেকটা বেড়ে যায়। সেই জলধারা তিস্তা দিয়ে বয়ে আসে নিম্ন-অববাহিকা এলাকায়। আর এতেই সমস্যা পড়েন মাল ব্লকের টোটোগাঁও, গজলডোবা এবং ক্রান্তি ব্লকের বিভিন্ন এলাকার মানুষজন। মাল ব্লকের বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রত্যন্ত টোটোগাঁও বস্তি এলাকায় জল ঢুকে পড়েছে। জল ঢুকে পড়ে কিছু বাড়িঘরেও।
আরও পড়ুন: Karnataka: সুরাপ্রেমীদের মাথায় বাজ! জুনের প্রথম সপ্তাহেই টানা বন্ধ মদের দোকান...
গ্রামে জল ঢুকে পড়ায় মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। তিস্তা ব্যারেজ, গজলডোবা এলাকায়ও জল বাড়তে দেখা গিয়েছিল। ব্যারেজের লকগেট খোলা থাকায় তিস্তার জলস্রোত ক্রান্তি ব্লকের পূর্ব দোলাইগাঁও, সাহেববাড়ি এলাকায়, আবাদি জমি-সহ বসতি এলাকায় ঢুকে পড়েছিল। সমস্যায় পড়েছেন পাট ও বাদামচাষিরা। অনেকের জমিতে জল ঢুকে তলিয়ে যায় সদ্য বেড়ে ওঠা পাট ও বাদামের গাছ।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)