Midnapur: জঙ্গলে শালগাছ কেটে আটকানো হল রাস্তা,'আতঙ্ক' ছড়াল জামশোলে
রবিবার রাতের ঘটনার সাথে অতীতের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তাও ভাবাচ্ছে পুলিশ কর্তাদের
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাতের অন্ধকারে আস্ত শালগাছ কেটে ফেলা হল রাজ্য সড়কে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপাল থানার জামশোল এলাকায়। ঘটনার তদন্তে পুলিস।
লালগড় আন্দোলনের সময় হামেশাই দেখা যেত এই দৃশ্য। রাতের অন্ধকারে কোথাও রাস্তার ওপরে ফেলে রাখা হতো প্রকাণ্ড গাছ, কোথাও আবার রাস্তা কেটে বিচ্ছিন্ন করা হতো যোগাযোগ ব্যবস্থা। তবে সেসব আজ অতীত। দীর্ঘ দশ বছরে সেভাবে প্রকাশ্যে নজরে আসেনি মাওবাদী কার্যকলাপ। তবে এবার একই কায়দায় রাস্তার ওপর গাছ ফেলার ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়াল জঙ্গলমহলে। কী উদ্দেশ্যে ঘটানো হল এই ঘটনা তা নিয়ে ধন্দে পুলিস।
আরও পড়ুন-Kolkata: পুজোর আগেই কলকাতায় মাথাচাড়া দিচ্ছে ডেঙ্গি, পুরসভার নজরে শহরের ৪ জায়গা
রবিবার রাতে মেদিনীপুর-ধেড়ুয়া রাজ্য সড়কে জামশোলের জঙ্গলে রাস্তার ওপর আড়াআড়িভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায় একটি শালগাছ। বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গুড়গুড়িপাল থানার পুলিস। রাস্তার ধারে রীতিমতো কেটে সরিয়ে দেওয়া হয় গাছের গুঁড়ি। এই ঘটনার পরই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন এই এলাকায় এমন ঘটনা দেখা যায়নি। কেন এরকম হল যদিও অতীতে মাওবাদীরা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও মানছেন স্থানীয়রা। তবে দীর্ঘদিন পর কেন আবার এরকম ধরনের ঘটনা ঘটল সেটাই প্রশ্ন এলাকাবাসীর। ঘটনার পরেই উঠে আসছে একাধিক মত। এলাকাবাসীর একাংশের মতে, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে হতে পারে এমন ঘটনা। আবার কারও মতে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করার জন্য ঘটানো হয়েছে এমন ঘটনা। যদিও জেলা পুলিস সুপার দীনেশ কুমারের দাবি, একদল দুষ্কৃতী ঘটিয়েছে এমন ঘটনা। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মাসখানেক আগেই কেটেছে মাওবাদীদের শহিদ সপ্তাহ। গোয়েন্দা দপ্তরের এক রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে এবং ঝাড়খন্ড লাগোয়া বেশ কয়েকটি এলাকায় বেড়েছে মাওবাদীদের আনাগোনা। অন্যদিকে দশ বছর আগে জামশোল সংলগ্ন এনায়েতপুর এলাকা কার্যত শক্ত ঘাঁটি ছিল মাওবাদীদের। এই রাস্তা ধরেই অতি সহজে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে অপারেশন চালাত তারা।
আরও পড়ুন-By-Poll: সাবধানে কাজ করো, মদনদের দেওয়াল লিখতে দেখে গাড়ি থামালেন নেত্রী
রবিবার রাতের ঘটনার সাথে অতীতের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তাও ভাবাচ্ছে পুলিশ কর্তাদের। জামশোলের ঘটনার পরেই মাওবাদীরাজ ফিরে আসার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি সৌমেন তেওয়ারি। এধরনের ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারকেই কার্যত দায়ী করেছে গেরুয়া শিবির।
যদিও বিজেপির দাবি মানতে নারাজ শাসকপক্ষ। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরার দাবি, জঙ্গলমহলের মানুষ তৃণমূল জামনায় সুখে আছে। তাই মাওবাদীদের কোনো অস্তিত্ব নেই জঙ্গলমহলে। ঘটনার পিছনে বরং চোরা কাঠকারবারি যুক্ত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে শাসক দলের জেলা সভাপতি।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)