কংগ্রেসের থেকে গান্ধী পরিবারের অবস্থা আরও খারাপ, কটাক্ষ দিলীপের
চিন্তন বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য ২ দিন দুর্গাপুরে ঘাঁটি গেড়েছেন বিজেপি নেতারা। রবিবার সকালেই সেখানেই দিলীপবাবু সাংবাদিকদের বলেন, 'কংগ্রেস থাকলে পরিবার থাকবে, পরিবার থাকলে কংগ্রেস থাকবে। কংগ্রেসের চেয়ে গান্ধী পরিবার বেশি বিপন্ন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দীর্ঘ অপেক্ষার পর দলীয় সভাপতির শূন্যপদ সাময়িকভাবে পূরণ করেছে কংগ্রেস। প্রায় ২ বছর পর পুরনো পদে ফিরেছেন সোনিয়া গান্ধী। আর এতেই ফের কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। গান্ধী পরিবার ছাড়া কংগ্রেসের গতি নেই বলে সমালোচনায় মুখর হয়েছে তারা। এক ধাপ এগিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ রবিবার বললেন, 'কংগ্রেসের থেকেও খারাপ অবস্থা গান্ধী পরিবারের।'
চিন্তন বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য ২ দিন দুর্গাপুরে ঘাঁটি গেড়েছেন বিজেপি নেতারা। রবিবার সকালেই সেখানেই দিলীপবাবু সাংবাদিকদের বলেন, 'কংগ্রেস থাকলে পরিবার থাকবে, পরিবার থাকলে কংগ্রেস থাকবে। কংগ্রেসের চেয়ে গান্ধী পরিবার বেশি বিপন্ন। কোনওদিন পরিবারের বাইরে কাউকে ওরা সম্মান দেয়নি। তাই নতুন নেতৃত্বও তৈরি হয়নি। কংগ্রেসটাকে বাঁচানোর জন্য পরিবারের বাইরের মানুষকে সুযোগ দেওয়া উচিত।'
দীর্ঘ জল্পনার পর শনিবার গভীর রাতে অন্তর্বর্তীকালীন কংগ্রেস সভাপতি নাম ঘোষিত হয়। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির ম্যারাথন বৈঠকের পর দায়িত্ব যায় সেই গান্ধী পরিবারের হাতে। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী হন সোনিয়া গান্ধী।
লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল গান্ধী। লাগাতার প্রায় ২ মাস তাঁকে পদত্যাগ প্রত্যাহারের জন্য কংগ্রেস নেতারা অনুরোধ করলেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন তিনি। এর পরই নতুন সভাপতি বাছতে বসতে বাধ্য হয় কংগ্রেস। তার আগেই রাহুল জানিয়ে দেন, এবার কংগ্রেস সভাপতি হবেন গান্ধী পরিবারের বাইরে কেউ। গত প্রায় ২১ বছর ধরে এই পদ ছিল গান্ধী পরিবারের কাছে। শনিবার সকালে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে নিজেদের বক্তব্য জানিয়ে বেরিয়ে যান সোনিয়া ও রাহুল। জানান, নতুন কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না তাঁরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব বর্তাল গান্ধী পরিবারের ঘাড়েই।
'গোর্খাল্যান্ড'-এর নীচে অমিত শাহের সই, মুখ লুকাতে ব্যস্ত বিজেপি
রাজনৈতিক মহলের মতে, লাগাতার হারে তলানিতে কংগ্রেস নেতাকর্মীদের মনোবল। বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, নেতা-কর্মী-বিধায়করা এই পরিস্থিতিতে দায়িত্ব গান্ধী পরিবারের বাইরে কারও হাতে গেলে দলে ভাঙন আরও ত্বরান্বিত হতে পারে। সেই প্রবণতায় বাঁধ দিতেই সোনিয়ার শরণে কংগ্রেস নেতারা।