রাজ্য লটারির টিকিট নিয়ে লাখ লাখ টাকার জাল কারবার, গোপন অভিযানে ধৃত ৫

বিভিন্ন রাজ্যের লটারির রেজাল্ট বের হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তৈরি করা হত জাল টিকিট। এমন নিখুঁতভাবে সেই জাল টিকিট তৈরি করা হত যা স্ক্যানেও ধরা পড়ত না।

Updated By: Nov 26, 2019, 08:41 PM IST
রাজ্য লটারির টিকিট নিয়ে লাখ লাখ টাকার জাল কারবার, গোপন অভিযানে ধৃত ৫

নিজস্ব প্রতিবেদন : দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গে এসে ঘাঁটি গেড়ে রমরমিয়ে চলছিল রাজ্য লটারির টিকিটের জাল কারবার। পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য রাজ্য লটারির জাল কারবার ফেঁদে বসেছিল একটি চক্র। অভিযান চালিয়ে ৫ জাল কারবারিকে গ্রেফতার করল জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার পুলিস।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য লটারির জাল টিকিটকে ব্যবহার করে পুরস্কার  তুলে নেওয়ার অভিযোগে গতকাল সকালে জলপাইগুড়ি আসাম মোড় এলাকা থেকে পল্টু সুত্রধর নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় পুলিসের। পুলিস জানতে পারে, বিভিন্ন রাজ্যের লটারির রেজাল্ট বের হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তৈরি করা হত জাল টিকিট। এমন নিখুঁতভাবে সেই জাল টিকিট তৈরি করা হত যা স্ক্যানেও ধরা পড়ত না। এরপর একই নম্বরের একাধিক লটারি টিকিট বিভিন্ন গ্যাং মেম্বারদের হাতে তুলে দেওয়া হত। সেই টিকিট ভাঙিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে নিয়ে গা ঢাকা দিত জাল কারবারিরা।

নদিয়ার বাসিন্দা পল্টু সূত্রধর নামে ওই যুবককে জাল লটারির টিকিট দিয়ে ৯০ হাজার টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে হাতেনাতে পাকড়াও করে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিস। তাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিস। গ্রেফতার করে কাঁচরাপাড়ার রাজ রায়, বর্ধমানের শেখ কুতুব ও কল্যাণীর তুষার পাল নামে আরও ৩ জনকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় একটি আর্টিগা গাড়িও। এরপর আজ চোপড়া থেকে রাহুল দাস নামে কাঁচরাপাড়ার বাসিন্দা আরও এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিস।

আরও পড়ুন, '৯ বছর ফিরিয়ে দাও', প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন প্রেমিক!

ধৃত শেখ কুতুব জানিয়েছে, তাদের চা পাতার মার্কেটিংয়ের জন্য গাড়িচালকের চাকরি দেওয়ার নামে জলপাইগুড়ি নিয়ে আসা হয়। এরপর গত দু-দিন ধরে তাকে জলপাইগুড়ির এক হোটেলে রেখে দেয় রনি নামে এক যুবক। তবে রনি তাদের সঙ্গে থাকত না। খালি মাঝেমধ্যে এসে দেখা করে খাবার টাকা দিত। ফোনে যোগাযোগ রাখত। ধৃত রাজ রায় স্বীকার করে যে, সে লটারির জাল টিকিট ভাঙিয়ে ৯০ হাজার তুলেছে। আর সেই টাকা রনিকে দিয়েছে। রাজ রায় জানিয়েছে, তাকে হোটেলে কাজ দেওয়ার নামে গত ৪ দিন আগে জলপাইগুড়ি তে নিয়ে আসে রনি। চক্রের মূল পান্ডা বর্ধমান জেলার বাসিন্দা শেখ শহিদুল ওরফে রনি এখনও অধরা। তার খোঁজে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিস।

.