Fake Appointement: ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে স্কুলে যোগ দেওয়ার চেষ্টা, বেগতিক বুঝেই বেপাত্তা যুবক
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই-ইডি তদন্তের মাঝেই ভুয়ো নিয়োগপত্র দেখিয়ে স্কুলে চাকরির চেষ্টা! ফলে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। সম্প্রতি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে ১৫০৬ জনের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। সেই নিয়োগ ইতিমধ্যে শেষও হয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভুয়ো অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে স্কুলে জয়েন করতে এসে বেকায়দায় পড়ল যুবক। অবশেষে স্কুল কর্তৃপক্ষের মানবিকতায় পালিয়ে বাঁচল ওই যুবক। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের মহেশপুর এলাকায়। উৎপল দাস নামে এক যুবক মহেশপুর অ:প্রা বিদ্যালয়ে নিয়োগ পত্র নিয়ে গত ১৬ তারিখে জয়েন করার জন্য আসে। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের সন্দেহ হওয়ায় পরের দিন নাম করে বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে নিয়ে যায় ওই যুবককে। বেগতির বুঝেই বেপাত্তা হয়ে যায় ওই যুবক।
আরও পড়ুন, Nadia News: ঘরছাড়া চার সন্তানের মা, ৯০ বছরের বৃদ্ধার ঠাঁই হল ভবঘুরেদের থাকার জায়গায়
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই যুবকের বাড়ি পাথরপ্রতিমা ব্লকের হেরোম্ব গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতর দক্ষিণ কাশিনগর এলাকায়। উল্লেখ্য, প্রাইমারি বোর্ডের চেয়ারম্যানের সই নকল করে মোটা টাকার বিনিময়ে জাল নিয়োগ পত্র ধরিয়ে দিচ্ছে বেকার ছেলেদের হাতে একদল অসাধু মানুষজন। আর সেই নিয়োগ পত্র নিয়ে আশায় বুক বেঁধে বেকার চাকরি প্রার্থীরা স্কুলে যাওয়ার পর বুঝতে পারেন তারা কোন চক্রে ফেঁসেছেন। লোকলজ্জা ও আইনের জটিলতার ভয়ে, বুঝতে পারার পর এসআই অফিস থেকে গা ঢাকা দিচ্ছেন ওই সমস্ত বেকার যুবক যুবতিরা।
মানবিক কারণে স্কুলের এসাইরা তাদেরকে চলে যেতে সাহায্য করছেন বলে অভিযোগ। এমনই ঘটনা চলছে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা জুড়ে। ইতিমধ্যে এর আগে বাসন্তী, সোনারপুর, এই ঘটনা ঘটার পর এবার ঘটল পাথরপ্রতিমার মহেশপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পাথর প্রতিমা ব্লকের দক্ষিণ কাশিনগরের বাসিন্দা উৎপল দাস একটি ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে মহেশপুর অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুলে আসেন শিক্ষকতার কাজে যোগ দিতে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নিয়োগপত্র দেখে সন্দেহ হয়। সরাসরি উৎপল দাসকে নিয়ে স্কুলের এসআই চৈতন্য সাহার কাছে যান।
আর সেখানেই পরিষ্কার হয় বিষয়টি। যে নিয়োগপত্র নিয়ে ওই যুবক এসেছিল তাতে একদিকে যেমন বিদ্যালয় পরিদর্শকের সই নকল রয়েছে তেমনি লেখার মধ্যেও একাধিক পার্থক্য রয়েছে। তবে এ নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। সিপিএম ও বিজেপি দাবি, এর মূল পান্ডাকে গ্রেপ্তার করা হোক। শাসকদলেরও একই দাবি। তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে সর্বসাধারণের উদ্দেশ্যে দিয়েছেন সতর্কবার্তা।
এই প্রতারণা চক্রে কেউ পা দেবেন না, পা দিয়ে কেউ ঠকবেন না। পাশাপাশি তিনি জানান, ২০০৯ এর প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের ১৮৩৪ জনের মধ্যে প্যানেলে ১৫০৬ জনের চাকরি এপয়েন্টমেন্ট এর ডেট অনেক দিন আগেই শেষ হয়ে গেছে। এদের সঙ্গে এই চাকরিপ্রার্থীদের কোনও সম্পর্ক নেই। জেলার কোন কোন জায়গায় এই প্রতারণা চক্র কাজ করছে অবিলম্বে এসআইদের নির্দেশ দিয়েছি কঠোর হাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।
তবে উৎপল দাসের পরিবারের লোকজন এই বিষয়ে কিছু জানেন না এমনকি কাজ ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছে। তবে প্রশ্ন উঠছে এই প্রতারণা চক্র কিভাবে দিনের পর দিন মোটা টাকার অংকের বিনিময়ে এইভাবে ভুয়ো নিয়োগ পত্র দিচ্ছে । অথবা এর মাথায় বা কে?
আরও পড়ুন, kalipuja 2023: ১০৮ নরমুণ্ড দিয়ে পুজো মায়ের! ঘন অন্ধকার শ্মশানে শবসাধনা...
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)