পশ্চিমবঙ্গে কিছু জনপ্রিয় কালীপুজোর প্রচলিত ইতিহাস
জয়পুরের কালীপুজো
নদিয়ার মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের তখন শেষের সময়। মৃত্যুপথযাত্রী রাজা, রামপ্রসাদের চরণ কামনা করেছেন। শেষ ইচ্ছা পূরণের জন্য হালিশহর থেকে রওনা দিয়েছেন কালীভক্ত সাধক। মাঝপথে ধরল ডাকাতের দল। হাড়িকাঠে মাথা গলিয়ে দিল রামপ্রসাদের। তারপর যা ঘটল, তা ম্যাজিক। মগরার জয়পুরের কালীপুজোর সঙ্গে জড়িয়ে এই ইতিহাস।
নলাটেশ্বরী
স্বপ্নাদেশে কামদেব উদ্ধার করেন সতীর কণ্ঠনালী। ব্রাহ্মণী নদী তীরে ললাট পাহাড়ের নীচে সেই কণ্ঠনালীর ওপর বেদি করে প্রতিষ্ঠিত হন দেবী নলাটেশ্বরী। নিত্যদিনের পুজো বা অমাবস্যা তো আছেই, প্রতি কার্তিক অমাবস্যায় সাড়ম্বরে দেবীর পুজো হয়। তন্ত্রের অন্যতম পীঠ এই নলাটেশ্বরী।
দেবী কিরীটেশ্বরী
মুর্শিবাদাবাদ। নামটা শুনলেই মনে আসে নবাব বাদশাদের কীর্তি আর ষড়যন্ত্রে ভরা রাজকাহিনির ছবি। কালী কথায় পলাশির স্মৃতি ছাড়িয়ে আমরা চোখ রাখব মুর্শিদাবাদের ধর্মীয় ইতিহাসের দিকে, যেখানে হিন্দু ধর্মের বিবর্তনের ধারা স্পষ্ট। দেখে নেব সেখানকার দেবী কিরীটেশ্বরীর মন্দির।
কল্যাণেশ্বরী
বড় রাস্তার ধারে ছোট্ট মন্দিরে ছিল মায়ের বাস। কিন্তু সারাদিনই আওয়াজ আর আওয়াজ। কোথাও গেরস্থ বাড়িতে বাচ্চার কান্না, কখনও ঢেঁকিতে ধান ভানার শব্দ। তিতিবিরক্ত দেবী আর থাকলেন না। সরে গেলেন নির্জন জায়গায়। আসানসোলের কল্যাণেশ্বরীর সঙ্গে জড়িয়ে এমনই নানা লোককথা।
অট্টহাস
পৃথিবীর সমস্ত আনন্দের উত্স বোধহয় মা শব্দের মধ্যে লুকিয়ে। যে অবলম্বনকে কেন্দ্র করে পূর্ণতা পায় সৃষ্টির ভাণ্ডার। সতীর দেহচ্ছিন্ন একান্নটি পীঠ মূলত মাতৃপীঠ রূপেই পূজিতা। ভারতীয় অধ্যাত্ম সংস্কৃতিতে এই মাতৃপীঠগুলির মাহাত্ম্য, মহত্ত্ব এবং তাত্পর্য অনেক। সেই দেবীপীঠ দর্শন চব্বিশের ক্যামেরায়। এবার আমরা চলে যাব অট্টহাসে।