রাম মন্দিরের ভূমিপুজোতে ব্যবহার হল বাজপেয়ীর বসতভিটের মাটি
সূত্রের খবর সর্বসন্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাস ভবনের মাটিও ব্যবহৃত হবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: অযোধ্যায় ঐতিহাসিক রামমন্দিরের ভিত্তিরপ্রস্তর স্থাপিত হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত দিয়ে। সেখানেই গড়ে উঠবে রাম মন্দির। সময় লাগবে আনুমানিক ৩ বছর। মন্দিরের ভুমিপুজোতে ব্যবহার করা হয়েছে গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত ধর্মীয় স্থানের মাটি। তারজন্য ভক্ত ও সাধুগণকে সারা দেশ জুড়ে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান থেকে মাটি পাঠাতে বলা হয়েছিল। সেই পবিত্র মাটির তালিকায় আছে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মভিটের মাটি।
সূত্রের খবর সর্বসন্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাস ভবনের মাটিও ব্যবহৃত হবে। সেইমতো, বিশ্বহিন্দু পরিষদ বাটেশ্বর গ্রামের অটলবিহারী বাজপেয়ীর পৈতৃক বাড়ি থেকে রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর জন্য কলসি ভরে সেখান থেকে মাটি নিয়ে যায় অযোধ্যায়। এছাড়াও মঙ্গলবার আগ্রার মেয়র নবীন জৈন শ্রীমহাবীর দিগম্বর জৈন মন্দিরের মাটি ভরা একটি কলসি বিশ্বহিন্দু পরিষদের হাতে তুলে দিয়েছে। এই মাটিও ভূমি পুজোতে ব্যবহার হয়েছে।
আরও পড়ুন- রাম মন্দির স্থাপনের ফলে অযোধ্যার অর্থনীতির ভোল পাল্টে যাবে: মোদী
এই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বহিন্দু পরিষদের আধিকারিক আশিস আর্য জানান, আগ্রা ও মথুরা ছাড়াও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর পৈতৃক গ্রাম বাটেশ্বরের মাটিও অযোধ্যাতে পাঠানো হয়েছে। এই মাটি বাজপেয়ীর পৈতৃক বাড়ির ধ্বংসাবশেষ থেকে সম্পূর্ণ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সংগ্রহ করা হয়েছে। সমস্ত ধর্মীয় স্থানের মাটির সঙ্গে বাজপেয়ীর বসতভিটের মাটি ভূমি পুজোতে ব্যবহার হয়েছে। আবেগতাড়িত হয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ভাগ্নে রাকেশ বলেন, “বাটেশ্বরের লোকদের জন্য এটি খুবই গর্বের মুহূর্ত। এই গ্রামের মাটি ঐতিহাসিক রাম মন্দিরের একটি অংশ হয়ে উঠবে।”