আলমারি খুলতেই জামা কাপড়ের ভিতর থেকে মাথা উঁচু করল সে...
কিন্তু আলমারি খুলতেই সর্বনাশ। ফোঁস করে এক ছোবল ‘তাঁর’।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাইরে বেরোবেন। অগত্যা আলমারি থেকে জামা বার করে পড়তে গিয়েছিলেন। কিন্তু আলমারি খুলতেই সর্বনাশ। ফোঁস করে এক ছোবল ‘তাঁর’। আর তাতেই সটান হাসপাতালে যুবক।
বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ আলমারি থেকে জামা বের করতে গিয়েছিলেন জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের শিকারপুরের চিরঞ্জিত রায়। আলমারি খুলতেই প্রথমে কানে একটা শব্দ এসেছিল বটে, কিন্তু তাতে খুব একটা আমল দেননি তিনি। জামা টেনে বার করতে গিয়েই বিপত্তি। জামকাপড়ের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে সাপ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পায়ে ছোবল দেয় সে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে রাজগঞ্জের মগড়াডাঙী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: দরজা ভেজানো, ভিতরে মায়ের নিথর দেহ দেখলেন ছেলে
সেখানে গিয়ে আরেক বিপত্তি। কী সাপে কামড়াছে, নিয়মমাফিক তা জানতে চান চিকিত্সকরা। কিন্তু চিরঞ্জিতের পরিবার তো দূর অস্ত, তাঁকে কী সাপে কামড়াছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি বনকর্মীরাও।
বনদফতরের টাস্ক ফোর্সের প্রধান সঞ্জয় দত্ত মুহুর্তে টিম নিয়ে হাজির হন চিরঞ্জিতের বাড়িতে। এরপর আলমারির তলে লুকিয়ে থাকা সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে ধন্দে পড়েন তাঁরা। প্রায় সাত ফিট লম্বা ওই সাপটি আদতে কোন প্রজাতির সাপ তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ধড় থেকে ছিন্ন হয়ে গেল মুন্ডু, ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা উলুবেড়িয়ায়
বনদফতরের আধিকারিক জানান, ‘এই সাপটি আমাদের এখানে অজানা। তাই এর ছবি আমরা জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দপ্তরে পাঠাবো।‘ সাপটিকে বৈকুন্ঠপুরের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কীভাবে আলমারির মধ্যে ঢুকে পড়েছিল সে, তা নিয়েই সংশয়ে চিরঞ্জিতের পরিবার। আতঙ্ক এমনই যে, তাঁরা ঘরে ঢুকতেই ভয় পাচ্ছেন। হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, চিরঞ্জিত রায়কে এন্টি ভেনাম দেবার পর জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।