সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার; দক্ষিণবঙ্গে শুরু বৃষ্টি, বেলা গড়ালে দুর্যোগ বাড়ার সম্ভাবনা
বাতাসের বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার। সঙ্গে হতে পারে বজ্রবিদ্যুতসহ বৃষ্টি। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলাদেশের ওপর তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরের ওপরে রয়েছে একটি উচ্চচাপ। এর ফলেই সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে রাজ্যের দু-একটি জায়গায়। সকালেই বৃষ্টিতে ভিজল বাঁকুড়া জেলা। সোমবার ভোরে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হয় মেদিনীপুর ও কলকাতায়। সকাল থেকেই কলকাতায় আকাশের মুখ ভার। দক্ষিণবঙ্গের আকাশে ভিড় করেছে মেঘে।
আরও পড়ুন-বায়ুসেনার বিমানহানায় তছনছ বালাকোটের জইশ ক্যাম্প, প্রমাণ মিলল উপগ্রহ চিত্রে
আবহাওয় দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী ৪-৬ মার্চ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রবল ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে প্রায় সর্বত্র আঘাত হানতে পারে কালবৈশাখি। বাতাসের বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার। সঙ্গে হতে পারে বজ্রবিদ্যুতসহ বৃষ্টি। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।
পূর্বাভাস অনুসারে সোমবার সন্ধ্যার পর দক্ষিণবঙ্গে শুরু হতে পারে ঝড়বৃষ্টির দাপট। মঙ্গলবার থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। কিন্তু তার আগেই দক্ষিণবঙ্গে বইতে শুরু হয়েছে হালকা ঠাণ্ডা হাওয়া সঙ্গে কোথাও ছিটেফোঁটা বৃষ্টি। ধীরে ধীরে এই দুর্যোগ এগোবে পূর্ব দিকে। সেক্ষেত্রে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে মঙ্গলবার ভোরে বা সকালে। বুধবার পর্যন্ত চলতে পারে দুর্যোগ। বৃষ্পতিবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন- অভিনন্দনের পাঁজরে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট, চোট মেরুদণ্ডের নীচের অংশেও
আবহবিদরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ওপর তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। ওদিকে বঙ্গোপসাগরের ওপরে রয়েছে একটি উচ্চচাপ। যার ফলে সমুদ্র থেকে স্থলভাগে ঢুকছে প্রচুর জলীয় বাস্প। তার সঙ্গে পশ্চিমি ঠান্ডা হাওয়ার সংঘাতে তৈরি হবে বজ্রগর্ভ মেঘ।