Sikkim Disaster: বিপর্যয়ের শেষ নেই সিকিমে! উদ্ধারকাজে এবার ভারতের সাহায্য চাইল সিকিম সরকার...
Sikkim Heavy Rain Landslide: আজও পাহাড়ে একই পরিস্থিতি। বন্ধ রয়েছে জাতীয় সড়ক ১০। শিলিগুড়ি থেকে ঘুরপথে করোনেশন ব্রিজ হয়ে জাতীয় সড়ক ৩১ দিয়ে ডুয়ার্স হয়ে গোরুবাথান, লাভা, লোলেগাঁও রাস্তা দিয়ে সিকিমের পথে সমস্ত গাড়ির যাতায়াত।
নারায়ণ সিংহরায়: আজও পাহাড়ে একই পরিস্থিতি। বন্ধ রয়েছে জাতীয় সড়ক ১০। শিলিগুড়ি থেকে ঘুরপথে করোনেশন ব্রিজ হয়ে জাতীয় সড়ক ৩১ দিয়ে ডুয়ার্স হয়ে গরুবাথান, লাভা, লোলেগাঁওয়ের রাস্তা দিয়ে সিকিমের পথে সমস্ত গাড়ির যাতায়াত।
আরও পড়ুন: Sikkim Monsoon Landslide: ফের বিপর্যয়! টানা বৃষ্টিতে ধস, একাধিক সড়ক বন্ধ, বিপাকে পর্যটকেরা...
তিস্তায় জল ফুলে-কেঁপে উঠেছে, পাহাড়ে, বিশেষ করে সিকিমে ভারী বৃষ্টি একই ভাবে হয়ে চলেছে। গত দু'দিনের তুলনায় আজ সকাল থেকে কালিম্পং জেলার তিস্তা বাজারে জলস্ফীতি কিছুটা নীচে নেমেছে
পাহাড়ে অতি বৃষ্টির ফলে গজলডোবা তিস্তা নদী এখনও ফুঁসছে। আজ সকাল থেকে এখন ১১০০ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে। এই মুহূর্তে ব্রিজের ৬ টা লোকগেট খোলা রেখেছে প্রশাসন। প্রসঙ্গত, কোনও নদীতে একটি নির্দিষ্ট স্থান দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যত ঘনফুট ( Cubic feet per second) জল প্রবাহিত হয় তাকে মাপা হয় 'কিউসেক' একক দিয়ে। আর নদীর একটি নির্দিষ্ট স্থান দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যত ঘনমিটার (Cubic meter per second) জল প্রবাহিত হয়, তাকে মাপা হয় 'কিউমেক' একক দিয়ে।
গত ক'দিনের বৃষ্টিতে ভয়াল আকার ধারণ করেছে তিস্তা। পাহাড়ে ভারী বৃষ্টির কারণে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। ধসের কারণে একাধিক রাস্তা ধসে গিয়েছে। রাস্তায় পড়ে রয়েছে বড় বড় গাছ-সহ নানা আকারের পাথর। এক রকম জীবনে ঝুঁকে নিয়েই ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে লিকুভির অব্দি যাতায়াত করছে ছোটো যানবাহন। তার পর থেকেই বন্ধ জাতীয় সড়ক ১০।
এই বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে আজ, শনিবার পাওয়া গিয়েছে সিকিম সরকারের আপডেটও।
সেখানে যা বলা হয়েছে, তা এরকম:
১) সিকিম সরকার উত্তর সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের এয়ারলিফ্ট করার জন্য ভারতীয় বিমানবাহিনীর সহায়তা চেয়েছে
২) মুষলধারে বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাট ও সেতু ভেসে যাওয়ায় পর্যটকরা বিভিন্ন স্থানে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে
৩) উত্তর সিকিমে ভারী বর্ষণের ফলে বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুর্গম এলাকায় যেসমস্ত পর্যটকেরা রয়েছেন তাঁদের নিরাপদ স্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বহু অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সিকিম প্রশাসনকে। এখনও বহু পর্যটক উত্তর সিকিমের দুর্গম এলাকায় আটকে রয়েছে। তাঁদের কাছে কোনও রেসকিউ টিম পৌঁছয়নি বলে জানা গিয়েছে।
৪) সিকিম সরকার আটকে পড়া ব্যক্তিদের সরিয়ে নিতে আইএএফকে হেলিকপ্টার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সংস্থান মোতায়েন করার জন্য অনুরোধ
৫) অবিলম্বে ত্রাণ প্রদান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। স্থানীয় প্রশাসন আটকে পড়া পর্যটক ও এলাকাবাসীদের দ্রুত উদ্ধার অভিযানের সুবিধার্থে IAF এর সঙ্গে যোগাযোগ করছে
আরও পড়ুন: Malbazar | Jalpaiguri: টানা ভারী বৃষ্টি! জল বাড়তে শুরু করেছে ডুয়ার্সের নদীগুলিতে...
৬) সিকিম সরকার ক্ষতিগ্রস্ত রুটগুলি পুনরায় চালু করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের কর্মকর্তারা এলাকাবাসীদের এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন এবং অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন
সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক সোমবার রাত থেকেই অবরুদ্ধ ছিল। মাজয়া গ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। তখনই জানা গিয়েছিল, বিপাকে পড়েছিলেন সেখানে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকেরা। বৃষ্টির কারণে গ্যাংটকের শিবমন্দির এলাকায় ভূমিধস হয়েছিল। ভূমিধসের কারণ মাঙ্গান থেকে চুংথাং হয়ে টুংনাগা যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। নিখোঁজ ছিলেন ৫ জন। এর মধ্যে ১ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। বহু জায়গায় বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, অবরুদ্ধ হয়েছিল রাস্তাঘাট। কোথাও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কোথাও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিঘ্নিত হয়েছিল। কোথাও ভেসে গিয়েছিল গাড়ি।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)