"পরের বোমাটা কালীঘাটে ফাটবে আর উনি নারকেল গাছে উড়ে গিয়ে বসবেন"
পশ্চিমবঙ্গ 'জিহাদিদের স্বর্গরাজ্যে' পরিণত হয়েছে...
নিজস্ব প্রতিবেদন : "যাঁরা আজাদি স্লোগান দেবে, তাঁদের মেরে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া উচিত।" ফের বিতর্কিত মন্তব্য সায়ন্তন বসুর। একইসঙ্গে নৈহাটির বিস্ফোরণ নিয়ে নাম না করে চাঁছাছোলা আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
প্রসঙ্গত দিন দুয়েক আগে খড়গপুর আইআইটি-তে 'আজাদি' স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন পড়ুয়ারা। আজ মেদিনীপুর শহরে অভিনন্দন যাত্রা শুরুর আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেই বিক্ষোভের প্রেক্ষিতেই এই মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা। আইআইটি পড়ুয়া সহ যাঁরাই আজাদির স্লোগান দেবেন, তাঁদের মেরে তাড়িয়ে দেওয়ার নিদান দেন সায়ন্তন বসু।
তিনি দাবি করেন, জামিয়া মিলিয়া, আলিগড় ইউনিভার্সিটি সহ দেশের গুটিকয়েক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের কাছ থেকে বন্দুক-কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। একইসঙ্গে এদিন নৈহাটি বিস্ফোরণ নিয়েও রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করেন সায়ন্তন বসু।
আরও পড়ুন, শনিবার রাতে রাজভবনে মোদীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক মমতার, তুঙ্গে জল্পনা
তোপ দাগেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাঁচাতে পুলিস কমিশনার নিজের পুলিসের উপরই দোষ চাপিয়েছে।" নাম না করে তৃণমূল সুপ্রিমোকে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, "এরপরের বোমাটা কালীঘাটে ফাটবে আর উনি উড়ে গিয়ে নারকেল গাছে উঠে বসবেন। সেদিন বুঝতে পারবেন কত ধানে কত চাল।"
সব মিলিয়ে মেদিনীপুর শহরে পা দিয়েই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক সায়ন্তন বসু। পশ্চিমবঙ্গ 'জিহাদিদের স্বর্গরাজ্যে' পরিণত হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।