Sujata Mandal On Saumitra Khan: চাহিদা পূরণ না হলে পাগলামিটা বাড়ে, সৌমিত্র সম্পর্কে মুখ খুললেন প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা
সুজাতা বলেন, উনি কোথাও গুরুত্ব পান না। যখন যে দলে থাকেন সেই দলকেই পাগল করে ছাড়েন। ওঁর মস্তিষ্ক বিকৃতি হয়েছে। ওঁদের নিজেদের মধ্যেই বনিবনা নেই, তৃণমূলের সঙ্গে কী লড়াই করবেন।
অরূপ লাহা: দলের পর্যবেক্ষকের পদ থেকে সরে এসে দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন বিজেপি বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। আগেও বহুবার বহু বিতর্কিত মন্তব্য করে দলকে বিড়ম্বনায় ফেলেছেন। এনিয়ে এবার মুখ খুললেন সৌমিত্রর প্রাক্তন স্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল। রবিবার বর্ধমানের মেহেদি বাগানে এক কালী পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দেন সুজাতা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দোলা সেন-সহ দলের অন্যান্য নেতৃত্ব। ওই অনুষ্ঠান শেষে সুজাতা বলেন, উনি কোথাও গুরুত্ব পান না। যখন যে দলে থাকেন সেই দলকেই পাগল করে ছাড়েন। ওঁর মস্তিষ্ক বিকৃতি হয়েছে।
আরও পড়ুন- আগ্রাসী বিরাটের চোখে জল, অন্য কোহলিকে দেখল ক্রিকেট দুনিয়া
প্রাক্তন স্বামীর কথা বলতে গিয়ে সুজাতা বলেন, উনি যখন তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উল্টোপাল্টা কথা বলেছেন। এখন যে দলে রয়েছেন সেখানেও দলের বিরুদ্ধে বলছেন। নিশ্চয় গুরুত্ব না পাওয়ার মতো কিছু করেছেন। এই দলেও কতদিন থাকবেন তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। রাজনীতি করতে আসা মানে সেটা পাওয়ার জায়গা নয়। মানুষের জন্য কাজ করা।
পর্যবেক্ষকের পদ ছেড়ে গত সোমবার এক ফেলবুক পোস্ট সৌমিত্র লেখেন, 'যেটা ঠিক সেটা ঠিক, যেটা ভুল সেটা ভুল। একথা আমি সর্বদা বলব। মোদীজি ও অমিত শাহকে দেখে রাজনীতি করতে এসেছি।' ওই পোস্ট নিয়ে ২৪ ঘণ্টাকে সৌমিত্র বলেন, রাজনীতিতে লড়াই করতে হয়। জিততে হয়। সেই জিত সঙ্গে নিয়েই চলতে হয়। বাংলায় যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের দেখে তো আর বিজেপি করতে আসিনি! অমিত শাহ, মোদিজিকে দেখে বাংলায় বিজেপি করতে এসেছি। রাজ্যে শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষ ছাড়া বাকীরা রাজনীতিতে অনেক নেতাই জুনিয়র। তাই অযোগ্যদের মাথায় তুলে রাজনীতি করা খুবই কঠিন। চাপিয়ে দিলেই সবসময় সফলতা পাওয়া যায় না। কারা অযোগ্য নেতা? কাদেরকে দলের উপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে? নিশানায় কি সুকান্ত মজুমদার? সৌমিত্র বলেন, যা মনে করবেন সেটাই। আসানসোলে আমরা ৩ লাখ ভোটে হেরেছি, মানিকতলা হলে ১ লাখ ভোটে হারব, প্রতিটি পুরসভাতে জামানত জব্দ হয়েছে। এসব নিয়ে ভাবা উচিত। প্রতি মাসে শুধু দলের কমিটি বদল করা হচ্ছে। এটা একেবারেই কাম্য নয়। একটা নেতা তৈরি করতে গেলে ১০-১২ বছর লেগে যায়। সেই নেতাকে সরিয়ে দিলে মানুষ ভালো চোখে নেয় না। রাজ্য মানুষ এখন বিজেপিকে চাইছে। কিন্তু বারবার নেতৃত্ব বদলের ফলে দলে ঘাটতির সৃষ্টি হচ্ছে।
সুজাতা আরও বলেন, দেশের যারা বড় নেতা তাদের সংগ্রামের ইতিহাস জানলে অবাক হতে হয়। ওই উচ্চতায় পৌঁছতে তাদের গোটা জীবনটা চলে গিয়েছে। সেখানে কেউ যদি অল্পদিন এসে বেশিকিছু পেয়ে যায় তাহলে তার চাহিদা পূরণ না হলেই মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটে বা পাগলামিটা বাড়ে। এইসব মস্তিষ্ক বিকৃত মানুষদের সম্পর্কে কী আর বলব। ওঁদের নিজেদের মধ্যেই বনিবনা নেই, তৃণমূলের সঙ্গে কী লড়াই করবেন। যার কথা হচ্ছে তাকে নিয়ে উত্তর দেওয়াটা সময় নষ্ট ছাড়া কিছু নয়। মুর্খামির পরিচয় দেওয়া।