AIIMS: 'জেদ ছিল ডাক্তারই হব', মেধার কাছে হার দারিদ্রের, এইমসে দুর্গাপুরের সরস্বতী
সরস্বতী রজক বলেন, আমি জেদ ধরেছিলাম ফের পরীক্ষা দেব। ফের পড়াশোনা শুরু করি। ২০২২ এ ফের নিটে দিয়ে ৬ হাজারের বেশি ব়্যাঙ্ক হয়েছে। এবার আমি এইমসে ভর্তি হতে পারব
চিত্তরঞ্জন দাস: বাবা পেশায় গ্যাস মিস্ত্রি। বাড়ি বাড়ি গ্যাস ওভেন সারিয়ে বেড়ান নিত্যানন্দ রজক। অ্যাজবেস্টরের ছাউনি দেওয়া বাড়িতে এখনও রান্না হয় কাঠের উনুনে। জন্ম থেকেই দারিদ্রকে কাছে থেকে দেখেছেন সরস্বতী রজক। সেই সরস্বতীই এবার ডাক্তারি পড়তে ভর্তি হবেন দিল্লি এইমসে। দুর্গাপুরের দেশবন্ধু নগরের এই তরুণীকে নিয়ে এখন হইচই পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন-Viral Video: হঠাৎ হাঁচি, হাঁচতে হাঁচতেই লুটাল মাটিতে, মর্মান্তিক পরিণতি যুবকের!
দুর্গাপুরের মতো জায়গায় কোনও নামজাদা স্কুল নয়, সরস্বতী পড়াশোনা শুরু করেছিলেন স্থানীয় শিশু শিক্ষা কেন্দ্র থেকে। সেখান থেকে সরকারি স্কুল। উচ্চ মাধ্য়মিকে বিজ্ঞানে ভালো ফল করে রানীগঞ্জের টিডিবি কলেজ থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক। দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে ডাক্তারির কথা মাথায় তাকলেও চেষ্টা করাটা হয়ে ওঠেনি। স্নাতক হওয়ার পর নিটে বসেন ২০২১ সালে।
আরও পড়ুন-কেমন আছেন 'ফুটবল সম্রাট' পেলে? কন্যা ফ্লাভিয়া দিলেন বড় আপডেট
সরস্বতী রজক বলেন, নিটে বসার জন্য পড়াশোনা সবটাই করেছিলাম বাড়িতে বসে। ব়্যাঙ্ক হয়েছিল এক লাখেরও বেশি। সেইসময় ওএমআর শিটের কিছু জানতাম না। বহু মার্কিং সার্কেলের বাইরে হয়ে গিয়েছিল। ফলে বহু নম্বর কাটা যায়। তবে শেষপর্যন্ত চান্স পেয়েছিলাম রাইপুর মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু ভর্তির জন্য আমার কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা চাওয়া হয়। সেই টাকা দেওয়ার সামর্থ আমার ছিল না। তবে বাড়ি থেকে ওই টাকা দেওয়ার ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমি জেদ ধরেছিলাম ফের পরীক্ষা দেব। ফের পড়াশোনা শুরু করি। ২০২২ এ ফের নিটে দিয়ে ৬ হাজারের বেশি ব়্যাঙ্ক হয়েছে। এবার আমি এইমসে ভর্তি হতে পারব। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নটা আমাকে দেখান আমার ছোট মামা। এইচএস-এ আমার দিদা বিনা চিকিত্সায় মারা যায়। ওকে খুব ভালোবাসতাম। ঠিক করে ফেলি ডাক্তারই হব।