অপসারণ নিশ্চিত জেনেও মুখে কুলুপ সব্যসাচীর
মুখ খুলতে নারাজ সব্যসাচী। দক্ষ রাজনীতিকের মতো তাঁর সতর্ক বয়ান, 'মুখের কথার ওপর নির্ভর করে কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না।'
নিজস্ব প্রতিবেদন: তাঁর বিদায়ের মঞ্চ সাজিয়ে ফেলেছে তৃণমূল। কিন্তু শেষ মুহূর্তেও সাবধানী বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত। রবিবার তৃণমূল ভবনে বিধাননগরের দলীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের বৈঠকে আমন্ত্রণ পাননি তিনি। বৈঠক শেষে তাঁকে সরানো নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে তৃণমূলের অন্দরে তখনও মুখে কুলুপ এঁটে বসে রইলেন তিনি। বললেন, 'শোনা কথার ওপরে ভিত্তি করে কিছু বলব না।'
আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, বিধাননগর পুরনিগমের কিছু দায়িত্ব সামলাবেন ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়। মেয়র পারিষদদের বৈঠকের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। যতদিন অবধি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়া হচ্ছে, ততদিন সব্যসাচীর বদলে এই কো-অর্ডিনেশন তাপস চট্টোপাধ্যায় করবেন। আগামিকাল বিকেল ৪টেয় বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র পারিষদের বৈঠক ডাকা হয়েছে।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পুরমন্ত্রী বলেন, "শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে। তাই এই মিটিং। কেউ যদি বিশৃঙ্খলা করেন, দল তাহলে ব্যবস্থা নেবে। এখন আমি কিছু বলা মানে, আমিও দলের শৃঙ্খলা ভাঙলাম। আমার নামেও শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে রিপোর্ট পড়বে। তাহলে আমার আর সব্যসাচীর মধ্যে পার্থক্য কী রইল?" ফিরহাদ হাকিমের স্পষ্ট কথা, "যা সিদ্ধান্ত নেবে, দল নেবে। দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি নেবে। আমি এই বৈঠকে অবজার্ভার হিসেবে এসেছিলাম।"
'কেউ বিশৃঙ্খলা করলে,দল ব্যবস্থা নেবে', সব্যসাচীকে নিয়ে মমতা ও শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে রিপোর্ট ফিরহাদের
এত কাণ্ডের পরেও মুখ খুলতে নারাজ সব্যসাচী। দক্ষ রাজনীতিকের মতো তাঁর সতর্ক বয়ান, 'মুখের কথার ওপর নির্ভর করে কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না।' বিধাননগরের ৩৯ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের মধ্যে ৩৬ জনই সব্যসাচীকে অপসারণের পক্ষে মত দিয়েছেন বলে দাবি তৃণমূলের। সেই মর্মে তাঁরা একটি লিখিত বিবৃতিতে সইও করেছেন। ফলে সব্যসাচীর বিদায় যে এখন সময়ের অপেক্ষা তা ছড়িয়ে পড়েছে ঘরে-বাইরে।