Sabang: বিজেপি করার 'অপরাধে' গোটা পরিবারকে সামাজিক বয়কট,কাঠগড়ায় তৃণমূল
এক বিজেপি কর্মীর গোটা পরিবারকে সামাজিক বয়কট করে রাখার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং বিধানসভার ৯ নম্বর বলপাই অঞ্চলের শঙ্খডিহা গ্রামে। এই ঘটনায় সবং থানা ও ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি কর্মী নিমাই ঘোষ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এক বিজেপি কর্মীর গোটা পরিবারকে সামাজিক বয়কট করে রাখার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং বিধানসভার ৯ নম্বর বলপাই অঞ্চলের শঙ্খডিহা গ্রামে। এই ঘটনায় সবং থানা ও ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি কর্মী নিমাই ঘোষ।
বিজেপি কর্মী নিমাই ঘোষের-এর অভিযোগ, তাঁর গোটা পরিবার প্রথম থেকেই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। গত বিধানসভা ভোটে সবং এলাকায় তৃণমূল জয়ী হওয়ার পর থেকে বলপাই অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানিক মাইতি নেতৃত্বে উক্ত এলাকার তৃণমূল কর্মীরা তাঁর পরিবারের সদস্যদের হেনস্থা করতে শুরু করে। এর পাশাপাশি প্রায় দেড় বছর ধরে তাঁর ধান ভাঙানোর মিল ও তার মিনি টিউব ওয়েল থেকে চাষের জন্য জল নিতে এলাকার চাষীদের বারণ করে রেখেছে।
এখানেই শেষ নয়,বিজেপি কর্মীর পরিবারের আরও অভিযোগ,ধান ভাঙানোর মিল চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। তার মিনি টিউব ওয়েল থেকে চাষের জমিতে যাঁরা জল নিয়ে চাষ করেন তাঁদেরও রীতিমত হুমকি দেওয়া হচ্ছে যাতে জমিতে কোনওরূপ চাষ-আবাদ না করা যায়। এমনকি জল নিলে চাষীদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে রীতিমতো গ্রামে বসবাস করেও একঘরে হয়ে রয়েছেন তাঁরা। সবং থানায় বারংবার জানানো সত্ত্বেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এর জেরে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন,বিজেপি কর্মী নিমাই ঘোষ ও তার বাবা সনাতন ঘোষ।
যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মানিক মাইতি। তিনি বলেন, বয়কট করতো সিপিএম করতো। বয়কট ধানকাটা লুটপাট এসব তৃণমূল করে না। নিমাই ঘোষের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে ভিত্তিহীন। উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে তৃণমূল দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে এ ব্যাপারে সবং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক তুহিন শুভ মহন্তী বলেন,এরকম একটি অভিযোগ এসেছে। আমরা প্রশাসনের তরফ থেকে আগে মানুষকে বোঝাবো। এই ধরনের কাজ অনৈতিক এবং সংবিধান বিরোধী। যারা এই বয়কটের সঙ্গে যুক্ত যদি তার সত্যতা প্রমাণিত হয় তাহলে প্রশাসনিক আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।