নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য রাজনীতির সাম্প্রতিক ধারা মেনেই সবংয়ে বিপুল ভোট বেড়েছে বিজেপির। ২০১৬ সালে পাঁচ হাজার ভোট থেকে তারা দেড়বছরে ৩৭ হাজার ভোট পেয়ে গিয়েছে। প্রায় ৩২ হাজার ভোট বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের। অন্যদিকে কংগ্রেস ১৮ হাজার ভোট পেয়ে চতুর্থস্থানে। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় কমে গিয়েছে বামেদের ভোটও। তবে তাদের সান্ত্বনা পুরস্কার দ্বিতীয়স্থান অর্জন।
প্রশ্ন উঠছে, কার ভোট কেটে বিজেপির এই বৃদ্ধি?
একনজরে সবং উপনির্বাচন-
তৃণমূল- ১,০৬,১৮৫
সিপিএম- ৪১,৯৮৯
বিজেপি- ৩৭,৪৮৩
কংগ্রেস- ১৮,০৬৩
এসইউসিআই- ২,০৭৯
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন-
কংগ্রেস-সিপিএম জোট- ১,২৭,৯৮৭
তৃণমূল- ৭৭,৮২০
বিজেপি- ৫,১৬০
এসইউসিআই- ২,৪৮৬
২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচন-
কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট- ৯৮,৩৫৯
সিপিএম- ৮৫,০৬৪
বিজেপি- ২৫০৫
এসইউসিআই- ২৪২৪
২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন-
কংগ্রেস- ৬৮,৪২৯
সিপিএম- ৬১,৭০১
তৃণমূল- ৪,৮২২
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূলের থেকে ভোট আসেনি বিজেপির ঝুলিতে। বরং সিপিএম ও কংগ্রেসের ভোটই ভেঙেছে। কী যুক্তি তাঁদের?
সবংয়ে ২০০৬, ২০১১ ও ২০১৭ সালের উপনির্বাচনে একা লড়ে সিপিএমের ভোটপ্রাপ্তির গড় ৬২,৯১৮টি। ২০১৬ সালে জোটের ভোট থেকে সেই সংখ্যক ভোট বাদ দিলে পড়ে থাকে ৬৫,০৬৯। অর্থাত্ কংগ্রেসের ভোটও ষাটের ঘরেই। ২০০৬ সালে একা লড়ে কংগ্রেসের টিকিটে মানস ভুঁইঞা পেয়েছিলেন ৬৮,৪৭৯টি ভোট। এখানে হিসাব মিলে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- সবং উপনির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে সিপিএম, বিপুল ভোট বাড়ল বিজেপির
আবার ২০১১ সালে তৃণমূল-কংগ্রেস জোট পেয়েছিল ৯৮,৩৫৯টি ভোট। মনে রাখতে হবে, তখনও রাজ্যের ক্ষমতায় ছিল সিপিএম। কংগ্রেসের অবস্থাও এতটা দুর্বল ছিল না। উপনির্বাচনে কংগ্রেসের ভোট ঠেকেছে ১৮,০৬৩তে। অন্যদিকে ২০১৬ সালের চেয়ে বিজেপির ভোট বেড়েছে ৩২,৩২৩টি। এই ভোটবৃদ্ধির পিছনে কংগ্রেস ও সিপিএমের 'অবদান' বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
কার ভোট কেটে সবংয়ে শ্রীবৃদ্ধি হল বিজেপির?