ভাঙড় থানার পাশেই ডাকাতির চেষ্টা, বাধা দিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু নিরাপত্তারক্ষীর
ডাকাতদের বাধা দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সায়েদ আলি মোল্লা নামে বছর ষাটেকের এক নিরাপত্তা কর্মী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভাঙড় থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে সোনাপট্টিতে ভয়াবহ ডাকাতি রুখতে গিয়ে ডাকাতদের গুলিতে প্রাণ গেল নিরাপত্তারক্ষীর। ডাকাতি রুখতে গেসে তাঁকে খুন করে চম্পট দেয় ডাকাত।
ঠিক কী হয়েছিল এদিন, জানা গিয়েছে ভাঙড় থানার থেকে কিছু দূরের এই সোনাপট্টিতে প্রায় ৪০টির ওপর সোনার দোকান রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিরাতের মতো রবিবারও গোটা বাজারের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন বাজার কমিটির নিযুক্ত ৪ নিরাপত্তারক্ষী। এদিন গভীর রাত্রে ভাঙড় সোনাপট্টিতে হামলা চালায় সশস্ত্র ডাকাত দল। ডাকাতদের বাধা দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সায়েদ আলি মোল্লা নামে বছর ষাটেকের এক নিরাপত্তা কর্মী।
আরও পড়ুন: প্রতিরাতে বিজেপির পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছিলেন এক মহিলা, অভিযোগে ধুন্ধুমার পাটুলিতে
সায়েদ আলি মোল্লার সঙ্গে কর্মরত ছিলেন অন্য চার জন থানার লাঠিধারী কনস্টেবল ও হোমগার্ডও। এদিন রবিবার রাত আড়াইটে নাগাদ একটি সোনার দোকানের পিছনের দিকের অংশে কিছু ভাঙার শব্দ শুনে ছুটে আসেন সায়েদ একাই। সায়েদ খালি হাতে বাধা দিতে গেলে তাঁকে লোহার রড দিয়ে মাথায় মারে ডাকাতদল। সঙ্গে সঙ্গে পড়ে যান তিনি। এরপরেই পালিয়ে যায় ডাকাত দল। চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে আসেন কনস্টেবল দের টিম স্পট এ পৌঁছলে দেখা যায় সায়েদ মাটিতে পরে আছেন।
ততক্ষণে চম্পট দিয়েছে ডাকাতরা। থানার পাশেই এই ভয়াবহ হামলার প্রতিবাদে দোকানপাট খোলেননি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। থানার সামনে স্থানীয় বাসিন্দারা একজোট হয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এদিকে এই ঘটনায় পুলিস দু জনকে আটক করেছে। এই ঘটনায় পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা