জঙ্গলের কোর এরিয়ার নদী থেকে বেআইনি ভাবে বালি-পাথর তোলা রুখতে গঠিত হল টাস্ক ফোর্স
ট্রাক-ডাম্পার চলাচল বন্ধ করার জন্য নদীঘাটের রাস্তা কেটে দিল বন দপ্তর।
![জঙ্গলের কোর এরিয়ার নদী থেকে বেআইনি ভাবে বালি-পাথর তোলা রুখতে গঠিত হল টাস্ক ফোর্স জঙ্গলের কোর এরিয়ার নদী থেকে বেআইনি ভাবে বালি-পাথর তোলা রুখতে গঠিত হল টাস্ক ফোর্স](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2021/06/19/327353-dumper.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: জঙ্গল-এলাকা দিয়ে ট্রাক ডাম্পার চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি বন দপ্তরের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় কোনও ভাবেই বালি-পাথর রাখা যাবে না বলেও নির্দেশ দিল বন দপ্তর। এই মর্মে নোটিসও দেওয়া হয়েছে গাড়ির মালিক এবং বালি-পাথর কারবারিদের।
জঙ্গলের কোর এরিয়ার নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি-পাথর তোলা রুখতে এবার উচ্চ পর্যায়ের টাস্ক ফোর্স (task force) গঠন করা হল। শুরু হয়েছে বন দপ্তরের কঠোর নজরদারিও। ইতিমধ্যে গজলডোবার সাত নম্বর কলোনি এলাকার ঘিস নদীর বাঁধের পাশে বন দপ্তরের জমিতে অবৈধ ভাবে নদী থেকে তুলে আনা বালি ইত্যাদি মজুতের অভিযোগে গজলডোবার এক ব্যবসায়ীকে ১০ জুন নোটিস ধরিয়েছিলেন তারঘেরা রেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মজুত ওই বালি তোলার চালান রেঞ্জ অফিস অথবা গজলডোবা বিট অফিসে জমা দিতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: বকখালির সমুদ্রে ট্রলার ডুবি, ১৪ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্কা
যে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বন দপ্তর (forest dept) নোটিস দিয়েছে, সেই ব্যবসায়ীর নাম সজনী সন্ন্যাসী। তিনি বলেন, এটা ঠিক যে, বন দপ্তরের জমিতে বালি ইত্যাদি মজুত করেছি। তবে সরকারি রাজস্ব জমা দিয়েই সেগুলি নদী থেকে তোলা হয়েছে। নোটিস পাওয়ার পর সেগুলি সরিয়ে নেওয়ার কাজও শুরু করেছি। আর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নথিপত্রও জমা দেওয়া হবে।
এর আগে ডুয়ার্সের (dooars) জঙ্গলের পার্শ্ববর্তী এলাকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একাধিক নদী থেকে অবৈধভাবে বালি-পাথর তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ সরাসরি বনমন্ত্রীর কাছে পৌঁছতেই রাজ্যের হেড অফ ফরেস্ট ফোর্স রবিকান্ত সিনহা ১১ জুন ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চ পর্যায়ের টাস্ক ফোর্স গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইতিমধ্যে টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা ঘিস, লিস, চেল, ডায়না, তিস্তা প্রভৃতি নদীগুলিতে নিয়মিত নজরদারিও শুরু করেছেন।
ইতিমধ্যে গজোলডোবা (Gajoldoba) সাত নম্বর কলোনি এলাকায় সজনী ঘাটে যাবার রাস্তা কেটে দিয়েছে বন দপ্তর। কারণ এই রাস্তাটি জঙ্গলের ভেতর দিয়ে সজনী ঘাটে গিয়েছে। ওই পথ দিয়েই ট্রাক-ডাম্পার বালি-পাথর আনতে যায়। তারঘেরা বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গল এলাকার মধ্যে কোনও ট্রাক-ডাম্পার চলাচল করতে পারবে না। সেই জন্য সজনী ঘাটে যাওয়ার রাস্তা দিয়ে কেটে দেওয়া হয়েছে।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)
আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামের পর এবার বাঁকুড়া, করোনা মোকাবিলায় ফের Micro Containment Zone রাজ্যে