Bankura: আসতে নারাজ অ্যাম্বুল্যান্স; ডুলিতে নিয়ে যেতে হয় রোগীকে, বোঝা দুস্কর এটি বিধায়কের গ্রামের রাস্তা

সারাবছর ওই রাস্তা দিয়ে কোনওরকম যাতায়াত করা গেলেও বর্ষায় এই রাস্তা হয়ে পড়ে চলাচলের অযোগ্য। ডুলি করে রোগী বা গর্ভবতী মায়েদের নিয়ে আসা হয় ৬ কিমি দূরে মেন রাস্তায়। তারপর সেখান থেকে অ্যাম্বুল্য়ান্সে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে

Updated By: Aug 17, 2022, 03:33 PM IST
Bankura: আসতে নারাজ অ্যাম্বুল্যান্স; ডুলিতে নিয়ে যেতে হয় রোগীকে, বোঝা দুস্কর এটি বিধায়কের গ্রামের রাস্তা

মৃত্যুঞ্জয় দাস ও অরূপ বসাক: গ্রামে যে একজন বিধায়ক রয়েছেন তা রাস্তা দেখলে মালুম হবে না। টানা ৬ কিলোমিটার হাঁটু সমান কাদা পেরিয়ে আসতে হয় মেন রোডে। গ্রামের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে পরিবারের। কারণ ওই গ্রামের নাম শুনে গ্রামে ঢুকতে চায় না অ্য়াম্বুল্যান্স। ফলে ডুলি করে অসুস্থ মানুষজনকে নিয়ে যাওয়া হয় মেন রাস্তায়। এরকম অবস্থা বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের কিলাই গ্রামের অবস্থা। রাজামেলা থেকে কিলাই গ্রাম পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পার হতে গ্রামের মানুষকে নাকানি চোপানি খেতে হয়। এমনটাই অভিযোগ গ্রামের মানুষজনের। গ্রামটি হল বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির।

আরও পড়ুন-২০০ কোটি টাকার তোলাবাজি মামলা, ED-র চার্জশিটে ‘অভিযুক্ত’ জ্যাকলিন

সারাবছর ওই রাস্তা দিয়ে কোনওরকম যাতায়াত করা গেলেও বর্ষায় এই রাস্তা হয়ে পড়ে চলাচলের অযোগ্য। ডুলি করে রোগী বা গর্ভবতী মায়েদের নিয়ে আসা হয় ৬ কিমি দূরে মেন রাস্তায়। তারপর সেখান থেকে অ্যাম্বুল্য়ান্সে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ভোটে জেতার পর চন্দনা বাউরী প্রথম ইচ্ছে ছিল গ্রামের রাস্তা সারাইয়ের। সেই মতো রাস্তা সারাইয়ের এর জন্য উঠেপড়ে লাগেন। ছুটে যান স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে ব্লক ও জেলা প্রশাসন পর্যন্ত। তার সেই চেষ্টাও ব্যর্থ। চন্দনা বাউরির অভিযোগ তিনি বিরোধী দলের বিধায়ক বলে তার এলাকায় কোনো কাজ হতে দিচ্ছে না শাসক দলের নেতা-নেত্রীরা। তবে গ্রামের মানুষের একটাই দাবি যে দলই করুক না কেন তাদের রাস্তা চলাচলের যোগ্য করে দেওয়া হোক।

এদিকে, এলাকার রাস্তা সারাই হওয়ার পরই কয়েক দিনেরক মধ্য়ে কী ভাবে পিচ উঠে গেল তা নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ মালবাজার মহকুমার আংরাভাষা গ্রামের মানুষজন। কয়েক দিনে বৃষ্টিতে রাস্তায় তৈরী হয়েছে গর্ত। এতে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের উদ্যোগে প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা ব্যায়ে বানারহাট মঙ্গলকাটা চৌপতি থেকে কলাবাড়ি হাইস্কুল পর্যন্ত সড়ক মেরামত করা হয়। তবে সেই রাস্তা মেরামতের তিনদিনের মধ্যেই উঠে যায় পিচের চাদর এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। যার ফলে পিচের চাদর উঠে যাওয়ায় বেরিয়ে এসছে মাটির নিচে থাকা পাথ।  তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টি হলে সমস্যা আরও বাড়ে। কারণ গর্তে জল জমে যায়। ভালো-খারাপ রাস্তার বোঝা যায় না। খানাখন্দে পড়ে রোজই আহত হচ্ছেন বাসিন্দারা। ফলে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের মালমসলা দিয়ে কাজ করা হয়েছে। সেই কারণেই অল্পদিনেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে এই রাস্তা। প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ এলাকার মানুষের কথা ভেবে রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল। নাগরাকাটা ব্লকের আংরাভাসা গ্রাম পঞ্চায়েতের গলাবারি মঙ্গলকাটা এলাকা হাতির উপদ্রব হয়। রাস্তা খারাপ হওয়ায় সেই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতেও আতঙ্কে ভোগেন বাসিন্দারা। কখনো হাতির সামনে পড়ে গেলে যে দ্রুত গতিতে পালিয়ে বাঁচবেন তারও উপায় নেই।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.