বাঁধ থেকে ছাড়া জলে দক্ষিণের ৫ জেলায় ব্যহত জনজীবন

Updated By: Oct 12, 2017, 01:45 PM IST
বাঁধ থেকে ছাড়া জলে দক্ষিণের ৫ জেলায় ব্যহত জনজীবন

নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘূর্ণাবর্তের জেরে ছোটনাগপুরের মালভূমিতে প্রবল বর্ষণের পর ফুঁসছে ভাগীরথির পূর্ববাহিনী শাখা নদ-নদীগুলি। যার জেরে বিপর্যস্ত রাঢ়বঙ্গ ও গাঙ্গেয় সমভূমির বিস্তীর্ণ অঞ্চল। প্লাবনের জেরে বাঁধ ভেঙেছে কয়েকটি জায়গায়। প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ কৃষিজমি। বিশেষ করে বিপদে পড়েছেন ময়ূরাক্ষী ও অজয়-পারের বাসিন্দারা। ধান পাকার মরশুমে এই প্লাবনে মাথায় হাত চাষিদের।

ছোট নাগপুরের মালভূমিতে বর্ষণের পর বুধবার থেকে জল ছাড়তে শুরু করে ঝাড়খণ্ডের বাঁধগুলি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রাবিত হতে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের একের পর এক জেলা। বীরভূমের মহম্মদবাজারের অজয়পুরে ময়ূরাক্ষীর জলে রাস্তা ভেঙে বিচ্ছিন্ন ১২টি গ্রাম। নৌকায় করে যাতায়াত করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। জল আরও বাড়ার আশঙ্কায় প্রমাদ গুনছেন তাঁরা। 

আরও পড়ুন - এবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন মুকুল, জেনে নিন আসল কারণটা

অজয়ের জলে প্লাবিত বাঁকুড়া জেলার বিস্তীর্ণ কৃষিজমি। বেশ কিছু জায়গায় বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে অজয়। শিস-সহ ধান জলের নীচে চলে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। 

অজয়ের জল ঢুকেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরা পৌরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে। যার ফলে বাড়ি ছেড়েছেন কয়েকশ মানুষ। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় তাদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় পুরসভা। 

কুনুর নদীর জলে প্লাবিত পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। সেখানেও আমন চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। 

ওদিকে কাটোয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে ফেরিঘাট। কাটোয়া থেকে নদিয়ার সঙ্গে সংযোগকারী দুটি ফেরিঘাটেই ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। রাতে জল বাড়তে প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বিপদে পড়েন বহু মানুষ। বাড়ি ফিরতে না-পেরে ফেরিঘাটেই ঠাঁই নেন তাঁরা। এদের মধ্যে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের জন্য বিশেষ ত্রাণের ব্যবস্থা করে মহকুমাপ্রশাসন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে সেখানে বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে ফেরি চলাচল শুরু করেছে প্রশাসন। জরুরি প্রয়োজন থাকলে তবেই পার করা হচ্ছে যাত্রীদের। 

আরও পড়ুন - বিজেপির প্রতিবাদে 'রাহুল গান্ধীকে পরানো হল শাড়ি-ব্লাউজ'

তবে সব থেকে খারাপ পরিস্থিতি মুর্শিদাবাদে। সেখানে ময়ূরাক্ষীর জলের তোড়ে পাঁচথুপিতে ভেঙে নদীবাঁধ। ফলে জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ওদিকে ভরতপুর-কান্দি রাজ্যসড়কে অঙ্গারপুর সেতু ছুঁয়ে ফেলেছে ময়ূরাক্ষীর জলস্তর। ফলে বিঘ্ন হচ্ছে যাতায়াত। 

 

 

.