শেষ সম্বল ১ লক্ষ টাকা, রাজ্যের কঠিন পরিস্থিতিতে সেটাও দান করলেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষিকা
নিজের পেনশনের জমানো টাকা থেকে এক লক্ষ টাকা রাজ্য সরকারকে দান করলেন শ্যামনগরের অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষিকা রানি ঘোষ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষিকা। শিক্ষকতা করেই তাঁর সারা জীবন চলেছে। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার। জীবনের শেষ সম্বল বলতে তাঁর পেনশনের জমানো টাকা। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কোনও পিছুটান রাখলেন না তিনি। নিজের পেনশনের জমানো টাকা থেকে এক লক্ষ টাকা রাজ্য সরকারকে দান করলেন শ্যামনগরের অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষিকা রানি ঘোষ।
শ্যামনগরেরই পন্ডিতপুকুর এলাকায় থাকেন রানি ঘোষ। এলাকারই শালবাগান প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। সন্তান নেই তাঁর। ছাত্রছাত্রীদেরই সন্তানের স্নেহে বড় করেছেন। এলাকায় 'দিদিমনি'বলেই পরিচিত তিনি। স্বামীর মৃত্যু হয়েছে কয়েক বছর আগে। তারপর থেকে তাঁর নিঃসঙ্গ জীবনযাপন।
লকডাউনে বন্ধ মন্দির, নেই প্রণামী, অর্থকষ্ট মেটাতে এবার মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি পুরোহিতদের
পেনশনের টাকাতেই তাঁর একার সংসার চলে। করোনা মোকাবিলায় এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজ্যের পাশে থাকতে চান তিনি। তাই তাঁর শেষ সম্বল এক লক্ষ টাকার রাজ্যের খাতে জমা করলেন। এরপর তাঁর কী হবে, অসুস্থ হলে তাঁর চিকিত্সার খরচ কে মেটাবেন, এসব নিয়ে এখন একেবারেই ভাবিত নন তিনি। শুধু তাঁর একটাই কথা, "এতদিন রাজ্যের কাছ থেকে টাকা পেয়েছি। এখন এই দুঃসময়ে রাজ্যের পাশেই দাঁড়াতে চাই। আরও টাকা থাকলে দিয়ে দিতাম। কিন্তু আমার এটুকুই সম্বল।"
দিদিমনির এমন সিদ্ধান্তে গর্বিত এলাকাবাসীরা। তাঁদের কথায়, "আমরা খুব খুশি। টাকা অনেকের আছে ক'জনের দিদির মতো মন থাকে।"