এক বর্ষাতেই ধুঁকছে ১৫০ কোটি টাকার সেতু সংলগ্ন রাস্তা, সুরাহার আশায় ভূতনির চরের বাসিন্দারা
সেই সেতুতে উঠতে হলে ভূতনিচরের বাসিন্দাদের পেরোতে হয় ভয়ানক রাস্তা। প্রায় ১৫০ কোটি টাকা খরচে তৈরি হয়েছে সেতু। এক বছর পেরোতে না পেরোতেই সেতুর সংযোগকারী রাস্তার অবস্থা চাষ জমির মত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাস্তার অবস্থা ভয়ঙ্কর। হাঁটা দায়। কাদায় পা ঢুকে যাচ্ছে। আর সেই পিচ্ছিল কাদা পথে প্রতিদিনের যাতায়াত। ভূতনির চর থেকে মানিকচক যেতে হলে যে সেতু পার করতে হয়। সেই সেতুতে উঠতে হলে ভূতনিচরের বাসিন্দাদের পেরোতে হয় ভয়ানক রাস্তা। প্রায় ১৫০ কোটি টাকা খরচে তৈরি হয়েছে সেতু। এক বছর পেরোতে না পেরোতেই সেতুর সংযোগকারী রাস্তার অবস্থা চাষ জমির মত।
আরও পড়ুন তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হালিশহর, চাপানউতোরে বিজেপি কর্মীর মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ
২০১১ তে তৃণমূল সরকারে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূতনি চরের সঙ্গে মানিকচকের যোগাযোগের জন্য সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন। সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয় প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। সাধু সাধু রব তোলেন ভূতনিচকের বাসিন্দারা। কাজ শেষ হয় ২০১৮-তে। ২০১৯ থেকে চালু হয় এই সেতু। কিন্তু এক বর্ষা যেতে না যেতেই সেতুতে সংযোগকারী রাস্তা বদলে যায় কাদা জমিতে। আসলে ব্রিজের সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তাই তৈরি হয়নি। ঠেকনা দেওয়া হয়েছিল মাত্র।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের আর্থিক অনুদানে ফুলহার নদীর উপর তৈরি হয়েছে সেতুটি। আগে ভরসা ছিল নৌকা। সেতু হওয়ার পর সেই নৌকার চলাচল কমেছে, এতে আরও দুর্ভোগ বেড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। ভূতনিরচরে মালপত্র নিয়ে যাওয়ার জন্যে সেতু থেকে ঝুলিয়ে মালপত্র নামানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন ভর্তুকিতে রাজি নয়, ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে ফের পরিবহণ দফতরে আবেদন বাস মালিকদের
অবস্থা খতিয়ে দেখেতে এসেছিলেন মালদার জেলাশাসক রাজর্ষী মিত্র ও সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মণ্ডল। কিন্তু সংযোগকারী রাস্তার হাল দেখে, আর সেইদিকে পা বাড়ালেন না তাঁরা। সেতুর একপাড়ে দাড়িয়ে জরুরি ভিত্তিতে রাস্তা সংস্কারের নির্দেশ দেন জেলাশাসক।রাস্তা তৈরি হবে শুনে স্বস্তি নিশ্বাস ফেলেছেন ভূতনি চকের বাসিন্দারা। কিন্তু একটা প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে, এবারও কি একইরকমভাবে ঠেকনা দেওয়া কাজ হবে।