Raju Jha Murder Case: রাজু ঝা খুনে ব্রেক থ্রু! ১৯ দিনের মাথায় গ্রেফতার ১
পুলিসকে ঘোল খাওয়াতে কলিং অ্যাপ আর পাংচার এড়াতে টায়ারে নাইট্রোজেন গ্যাস। খুনিদের নিখুঁত পরিকল্পনার কাছে কার্যতই যেন দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল পুলিস। রাজ্যের খনি অঞ্চলের বেতাজ বাদশা রাজু ঝা-কে খুনের উনিশ দিন পর অবশেষে গ্রেফতার ১ জন।
বিক্রম দাস: রাজু ঝা খুনে ব্রেক থ্রু। শক্তিগড় শুটআউটে উনিশ দিন পর প্রথম গ্রেফতার। গ্রেফতার অভিজিত্ মণ্ডল দুর্গাপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বুধবারই তাঁকে আদালতে পে করা হবে। এক কয়লা ব্যবসায়ীর ডান হাত বলে পরিচিত এই ধৃত। পুলিস সূত্রে খবর, রাজু ঝার সঙ্গে ব্যবসা নিয়ে বিবাদ চলছিল। আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে ধৃতকে জেরা করলেই বাকি অভিযুক্তদের হদিশ মিলবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন, Onda: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাসেও মিটল না সমস্যা, ব্লক কমিটিতে পদ পেলেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা
সূত্রের খবর, কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুনের অভিযুক্ত অভিজিৎ দুর্গাপুর-আসানসোলের এক কুখ্যাত কয়লা মাফিয়ার গাড়ি চালক। রাজুকে খুনের পর পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন অভিজিৎ। নানা সূত্র ধরেই এ বার গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। ১ এপ্রিল শক্তিগড়ে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে খুন হন দুর্গাপুরের কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা। সেদিন রাত পৌনে ৮ টা নাগাদ শক্তিগড়ে কলকাতামুখী ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায় সাদা রঙের একটি ফরচুনা গাড়ি। ওই গাড়ির চালকের পাশের সিটে বসে ছিলেন রাজু ঝা।
একই গাড়ির পিছনের আসনে বসে ছিলেন রাজু ঝা-র সহযোগী ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ও সিবিআইয়ের তদন্তাধীন গরু পাচার মামলায় ফেরার অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ। রাজু ঝায়ের গাড়ি শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের সামনে দাঁড়ানোর কিছু সময়ের মধ্যেই সেখানে এসে দাঁড়ায় শার্প শুটাদের নীল রঙের একটি চারচাকা গাড়ি। এরপর এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে ওই গাড়ি থেকে নেমেই দুই শার্পশুটার পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পর পর গুলি চালিয়ে রাজুর শরীর ঝাঁঝরা করে দিয়ে পালিয়ে যায়।
তবে তদন্তে নেমে রীতিমতো নাজেহাল হয় তদন্তকারীরা। এমনকী কাউকে পাকড়াও করতে না পারায় পুলিসের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। অন্যদিকে, দূরত্ব মেরেকেটে কয়েক হাত! রোমহর্ষক সেই হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেছিলেন এক ঝালমুড়িওয়ালা। নাম, আবু জিয়া। তিনি জি ২৪ ঘণ্টাকে জানান, 'একটি সাদা গাড়ি এসে একটু দূরে দাঁড়াল। বাড়ি আসব বলে জিনিসত্র গোছাচ্ছি। একজন লোক এল, পর পর ৩ মুড়ি নিল। আমাকে পয়সা দিল। তারপর দেখি, দুমদাম শব্দ হচ্ছে। ভয়ে পালিয়ে যাই'।
আরও পড়ুন, Chandrakona: প্রকট হচ্ছে তৃণমূলের কোন্দল, কমিটি গঠন নিয়ে আক্রমণ ব্লক সভাপতি ও বিধায়ককে