‘বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে বেছে বেছে এনকাউন্টার হবে’, হুমকি বিজেপি নেত্রীর

“দিল্লি থেকে রাজ্য পর্যন্ত দলের সব নেতারাই বলেছেন তালিকা তৈরি করতে। বিজেপি আসছে বাংলার মাটিতে। কাকে কাকে এনকাউন্টার করতে হবে সে আমরা বুঝেনেব।”

Updated By: Dec 14, 2018, 01:56 PM IST
‘বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে বেছে বেছে এনকাউন্টার হবে’, হুমকি বিজেপি নেত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদন: তেলেঙ্গানায় টি রাজা সিং, বাংলায় রাজকুমারী কেশরী, দুজনেই বিজেপির ‘মোটরমাউথ’। আগুনে বক্তৃতায় মুখর যাকে বলে। সম্প্রতি তেলেঙ্গানায় একমাত্র বিজেপি বিধায়ক হিসেবে জিতে এসেছেন টি রাজা সিং। ভোটের আগে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ক্ষমতায় এলে যোগী রাজ্যে যেভাবে শহরের নাম বদলে দেওয়া হচ্ছে, তেলেঙ্গানাতেও তাই হবে।  হায়দরাবাদের নাম বদলে রাখা হবে ভাগ্যনগর। তবে রাজার সেই স্বপ্নে আপাতত দাঁড়ি টানতে হয়েছে। কারণ তেলেঙ্গানায় দুই অঙ্কের আসনেই পৌঁছায়নি বিজেপি। বাংলায়ও হালটা একই। তবে ক্ষমতায় এলে বাংলাতেও ‘যোগী রাজত্ব’ চালু করার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন রাজা সিংয়েরই ‘সতীর্থ’ রাজকুমারী কেশরী।

আরও পড়ুন- ৬০টি মামলা খেয়েও জিতলেন সেই রাজা সিং-ই

দিন দুয়েকে আগের ঘটনা। দুর্গাপুরের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজকুমারী কেশরী হুমকির সুরে বলে রাখলেন, “বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে এখানেও যোগী রাজ্যের মতো এনকাউন্টার করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দিল্লি থেকে রাজ্য পর্যন্ত দলের সব নেতারাই বলেছেন তালিকা তৈরি করতে। বিজেপি আসছে বাংলার মাটিতে। কাকে কাকে এনকাউন্টার করতে হবে সে আমরা বুঝে নেব।”

আরও পড়ুন- সঙ্কটজনক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী নিরুপম সেন

তবে এটাই প্রথমবার নয়। অতীতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুরুচিকর আক্রমণ শানিয়ে শিরোনামে এসেছিলেন রাজ্য বিজেপির এই নেত্রী। “ক্ষমতায় এলে দিদি-কে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কুকুরের মতো ছুটিয়ে ছুটিয়ে পেটাব”, বলেও মন্তব্য করেছিলেন রাজকুমারী কেশরী। চলতি বছরেই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেত তিনি বলেছিলেন, দিদি মোদী বাবার কাছে ভিক্ষা চাইতে দিল্লি যায়!

আরও পড়ুন- বিধায়ক নন, সরিফুদ্দিনই কি ছিল টার্গেট? জয়নগরকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

শুধু রাজকুমারীই নন, বিতর্কিত মন্তব্য করে বারেবারে শিরোনামে আসতে দেখা গিয়েছে রাজ্য মহিলা মোর্চার নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও। বিজেপির রথের সামনে দাঁড়ালে পিষে মারা হবে বলেও মন্তব্য করেন লকেট। যদিও এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছিল তৃণমূলও। অতীতে এবং সাম্প্রতিক সময়ে শাসক-বিরোধী দুই পক্ষই যেভাবে শব্দ সন্ত্রাস তৈরি করছে, তাতে চিন্তিত রাজ্যের সুশীল সমাজ। শালীনতা রেখেই বক্তৃতা করার পক্ষেই সওয়াল করছেন ওয়াকিফহাল মহল।    

.