'সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করেই কি বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কসাইয়ের কাজ চলছে!'

প্রাইভেট স্কুলগুলিতে ভর্তির নামে অভিভাবকদের লুট করা হচ্ছে! মুখ্যমন্ত্রী স্টেটমেন্ট দিয়েছেন, অতিরিক্ত টাকা নেওয়া যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে স্কুলগুলো

Reported By: অঞ্জন রায় | Edited By: সিকান্দর আবু জ়াফর | Updated By: Aug 12, 2020, 08:11 PM IST
'সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করেই কি বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কসাইয়ের কাজ চলছে!'
ছবি-নিজস্ব

নিজস্ব প্রতিবেদন: বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সার নামে এরাজ্য লুট চলছে। আর সরকার তা চুপচাপ দেখেছে। বুধবার রাজ্যের চিকিত্সা ব্যবস্থা থেকে স্কুলে ভর্তি, একাধিক বিষয় নিয়ে সরকারকে নিশানা করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা।

চিকিত্সা ব্যবস্থা

বাইপাসে ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে সোমবার এক করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। ভর্তির পুরো টাকা দিতে না পারায় তাকে ভর্তিই নেওয়া হয়নি। টাকা নিয়ে টালবাহানার মধ্যে অ্যাম্বুল্যান্সেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ উঠছে।  এনিয়ে তত্পর হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনও। এ ব্যপারে রাহুল সিনহা বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলো মানুষের গলা কাটছে। রোগীকে মানুষ বলে গণ্য করছে না। সরকার বিভিন্ন রকম নীতি নিচ্ছে কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলো সরকারকে পাত্তা দিচ্ছে না। ওরা কিচ্ছু মানছে না। তাহলে হয় সরকার অযোগ্য, অপদার্থ। তা না হলে ভেতরে ভেতরে কোনও সমঝোতা হয়ে গিয়েছে। সরকার দায়সারাভাবে কিছু কথা বলে যাবে আর বেসরকারি হাসপাতালগুলো কসাইয়ের যে কাজ সেটা করে যাবে। এরকমই চলছে।

আরও পড়ুন-'ওঁর জন্য যেটা ভালো সেটাই যেন করেন ঈশ্বর', বাবার জন্য প্রার্থনা প্রণব-কন্যা শর্মিষ্ঠার

বিজেপি নেতা আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন এ রাজ্যের চিকিত্সা দেশের সেরা। হাওডা়র ঘটনায় দেখা গেল কীভাবে এক মহিলা নিস্পেশিত হচ্ছেন। করোনার কোনও চিকিত্সা হচ্ছে না। হাসপাতালের খাবার মুখে দেওয়া যাচ্ছে না। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সা নেই, বেসরকারি হাসপাতালগুলো রোগীদের লুট করার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। সরকার চুপচাপ দেখছে।

মহাকরণ সংস্কার

শাসন ক্ষমতায় আসার পর মহাকরণ ছেড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে গিয়েছেন অনেকদিনই হল। এখনও ঐতিহ্যবাহী রাইটার্স বিল্ডিংয়ের সংস্কারের কাজ শেষ হয়নি। এনিয়ে রাহুল সিনহা বলেন, উনি মহাকরণ থেকে নবান্নতে গিয়েছেন। সেখান থেকে উপান্নতে যাবেন। সেখান থেকে যাবেন কালীঘাটে। লক্ষ্য করে দেখুন কালীঘাটের দিকেই এগোচ্ছেন মমতা। একুশ সালে উপান্নতেও থাকতে পারবেন না উনি। আসল কথা উনি যেহেতু মহাকরণ থেকে চলে গিয়েছেন সেহেতু রাইটার্স সারাইয়ের কোনও কিছু দেখার আর দরকার নেই। সারাইয়ের কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মহাকারণ একটি ঐতিহ্যবাহী ভবন। ওই ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। কেন এনিয়ে সরকার উদাসীন কেন তার জবাব মমতাকে দিতে হবে।

আরও পড়ুন-করোনায় প্রয়াত চিকিৎসক, হাসপাতালে বিল উঠেছে ১৯ লাখ! রিভিউয়ের আবেদন স্বাস্থ্য কমিশনের

স্কুলে ভর্তি

রাজ্যে বেসরকারি স্কুলে ভর্তির ফি নিয়ে বিজেপি নেতা বলেন, দেখছেন তো কীভাবে প্রাইভেট স্কুলগুলিতে ভর্তির নামে অভিভাবকদের লুট করা হচ্ছে! মুখ্যমন্ত্রী স্টেটমেন্ট দিয়েছেন, অতিরিক্ত টাকা নেওয়া যাবে না। যে অ্যাকটিভিটি স্কুলে হয়নি তার টাকাও নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে স্কুলগুলো। একই কথা কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে। যে যা পারে করছে। বাস্তবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য কোনও সমস্যার সুরাহা হচ্ছে না। রাজ্যে একটা অন্ধকারের রাজত্ব চলছে। তার প্রধান এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

.