বিদায় প্রিয়রঞ্জন, শ্রদ্ধা জানাতে এসে কে কী বললেন
বন্ধুস্থানীয় ছিলেন, বললেন বিমান বসু
নিজস্ব প্রতিবেদন: গভীর কোমা কেড়ে নিয়েছিল তাঁর স্মৃতি। প্রায় ৯ বছর শয্যাশায়ী করে রেখেছিল পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সব থেকে ডায়নামিক নেতাকে। দীর্ঘদিন আলোচনার বৃত্তের বাইরে থাকলেও তাঁকে যে ভোলেনি রাজ্যের রাজনৈতিক মহল টের পাওয়া গেল মঙ্গলবার। বিধান ভবনে প্রয়াত নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে স্মৃতিসাগরে ডুব দিলেন ডান-বাম সমস্ত দলের নেতাই। চোখের কোণ চিক চিক করে উঠল অনেকেরই।
এদিন বামফন্টের পক্ষে প্রিয়রঞ্জনকে শ্রদ্ধা জানান বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা। ছিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য, জয়প্রকাশ মজুমদার। ছিলেন তৃণমূল নেতারাও। প্রিয়রঞ্জনের বাসভবনে যান মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বিমান বসু
প্রিয়রঞ্জনের স্মৃতিচারণা করে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, আমরা ছাত্র রাজনীতিতে সমসাময়িক। প্রিয়রঞ্জন কংগ্রেসের একজন বড় নেতা ছিলেন। তাঁর চলে যাওয়াতে দলীয় সহকর্মীদের মতো আমরাও শোকাহত। তাঁর স্ত্রী, পরিবার পরিজনদের সমবেদনা জানাচ্ছি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, প্রথমদিকে শোভন দা, সুব্রতদার সঙ্গে পরিচয় ছিল। ধীরে ধীরে প্রিয়দার সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। প্রিয়দা অন্য স্তরের নেতা ছিলেন। কখনও কখনও ওঁর কথা না শুনে বকুনিও খেয়েছি। ওঁর কাছ থেকে সবাইকে নিয়ে চলা শিখেছি। মানুষের পাশে থাকার কথাও তিনি বলতেন। ছাত্র-যুব আন্দোলন কীভাবে হবে তার রূপরেখা উনিই ঠিক করে দিয়ে যান।
শমীক ভট্টাচার্য
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, খুব ভালো বক্তা ছিলেন। ভালো সাংগঠক ছিলেন।
অরুণাভ ঘোষ
আজ যাঁরা হাইকোর্টে এই শোকযাত্রায় এসেছেন তাঁদের অনেকের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। কিন্তু কোনও না কোনও ভাবে তাঁদের স্মৃতিতে জড়িয়ে গিয়েছিলেন প্রিয়রঞ্জন। প্রিয়দাকে এই জন্যই মানুষ মনে রাখবে।
সৌগত রায়
রাজনীতিতে প্রিয়দা অনেকের কাছেই রোল মডেল ছিলেন। অনেকের রাজনীতিত হাতেখড়ি হয়েছে তাঁর হাত ধরেই।
গৌতম দেব(তৃণমূল)
এক বিরল চরিত্রের মানুষ ছিলেন প্রিয়দা। দক্ষ সংগঠক, ক্রীড়াপ্রেমী, অসাধারণ বাগ্মী, সফল সাংসদ ছিলেন। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়ে কোনও প্রশ্নের অবকাশ নেই। উত্তরবঙ্গের এক প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে এসে তিনি সর্বভারতীয় রাজনীতির এক উল্লেখযোগ্য জায়গায় চলে গিয়েছিলেন। তাঁর প্রয়াণ রাজনীতিতে অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি করল।
আরও পড়ুন- আর্ন্তজাতিক ন্যায়বিচার আদালতে বিচারপতি পদে ফের নির্বাচিত হলেন দলবীর ভাণ্ডারী