Teacher Suicide: টাকা ফেরতের জন্য চাপ? সাগরে 'আত্মঘাতী' তৃণমূলের শিক্ষা সেলের সভাপতি
চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে তিনি টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যাঁরা টাকা দিয়েছিলেন, তাঁরা টাকা ফেরতের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন!
নকিবুদ্দিন গাজি: চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছিলেন? মানসিক চাপে আত্মহত্য়া? দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরে তৃণমূলের শিক্ষা সেলের সভাপতির রহস্যমৃত্যু। জঙ্গল থেকে উদ্ধার হল ঝুলন্ত দেহ।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম হারাধন দাস। বাড়ি, সাগর রুদ্রনগর পশ্চিমপাড়া এলাকায়। স্থানীয় বিন্দপুর প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন তিনি। এদিন সকালে বাড়ির কাছে জঙ্গলে হারাধনে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় সাগর থানায়। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিস। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক পরিবারের লোকেরা।
কীভাবে মৃত্যু? স্থানীয় সূত্রের খবর, সাগরে তৃণমূলের শিক্ষা সেলের সভাপতি ছিলেন হারাধন। বেশ কয়েকদিন মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। কেন? স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সম্প্রতি শিক্ষকতার চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন খোদ শাসকদলেরই শিক্ষক নেতার শ্য়ালক! শুধু তাই নয়, চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে নাকি টাকাও নিয়েছিলেন হারাধন। যাঁরা টাকা দিয়েছিলেন, তাঁরা টাকা ফেরতের দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। তাহলে মানসিক চাপেই আত্মহত্যা? ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: বীরভূম থেকে মুর্শিদাবাদেও কন্ট্রোল হত গরু পাচার! প্রমাণ পেল সিবিআই
এদিকে অবসরের ৩ বছর পরেও পেনশন না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন কলকাতার হেয়ার স্কুলের প্রধানশিক্ষক সুনীল কুমার দাস। ২০১৯ সালে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে 'শিক্ষারত্ন' সম্মান পেয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি দেবীপুর রাজবাগান এলাকায় বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় এই শিক্ষকের। স্ত্রী সাধনা দাসের দাবি, 'পেনশন না পাওয়াতেই তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। কীভাবে সংসার চলবে? তা নিয়ে উদ্বেগে ভুগছিলেন। অনেক চেষ্টা করেও কিছু হয়নি। ২০১৯ সালে তিনি শিক্ষারত্ন পান। ওই বছরই অবসর নেন'।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শিক্ষা বিস্তারে অনেক অবদান ছিল প্রাক্তন প্রধানশিক্ষক সুনীল কুমার দাসের। অনেকে পড়াশোনায় সাহায্য করেছিলেন তিনি। পরিবারে কোনও অশান্তি ছিল না। ২ মেয়েরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। একমাত্র ছেলেও উচ্চশিক্ষিত। পিএইচি সম্পূর্ণ করেছেন তিনি। দীর্ঘ কর্মজীবনে বেশ কয়েকটি স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন সুনীল। শেষে কলকাতার হেয়ার স্কুলের প্রধানশিক্ষক হিসেবে অবসর নেন। তাহলে কেন এমন মর্মান্তিক পরিণতি? ভেঙে পড়েছেন সকলেই।
আরও পড়ুন:Weather Report: শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ, বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টির সতর্কতা একাধিক জেলায়
এদিকে টেট দুর্নীতি মামলা হাইকোর্টে সাময়িক স্বস্তি পেলেন কেষ্ট-কন্য়া সুকন্যা মণ্ডল। স্রেফ হাজিরা নয়, সুকন্যা-সহ ৬ জনের টেট সার্টিফিকেট ও নিয়োগপত্র আদালতে পেশ করার নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী, অতিরিক্ত হলফনামাটিও জমা নেননি তিনি।