প্যারোলে ছাড়া পেয়ে মৃত্যু যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তের, নড়েচড়ে বসল প্রশাসন
মৃতের ছেলে রঞ্জন শিকদার বলেন, জেল কর্তৃপক্ষ রেফার করেনি এই অজুহাত দেখিয়ে জামালপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাবার চিকিৎসা করতে চায়নি
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ঘরে ফিরেছিলেন জামালপুরের বাদলগরিয়ার বাসিন্দা রতন শিকদার(৭২)। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পেয়ে তিনি বন্দি ছিলেন প্রেসিডেন্সি জেলে। ঘরে ফিরেই আচমকা অসুস্থ পড়েন রতন। টিবি ছিলই, সঙ্গে শ্বাসকষ্ট। শেষপর্যন্ত তার জেরেই মৃত্যু হল রতনের।
এদিকে, ওই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিস-প্রশাসন। রতন শিকদারের মৃতদেহ উদ্ধার করে জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে তাঁর দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে(Burdwan Medical College)।
আরও পড়ুন-সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত Pulwama, শহিদ এক জওয়ান
মৃতের ছেলে রঞ্জন শিকদার বলেন, একটি খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁর বাবা রতন শিকদারের যাবজ্জীবন সাজা হয়। ১৯৯৯ সাল থেকে তিনি আলিপুরের প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন । কোভিড অতিমারির কারণে চলতি বছরের ১৭ মে তিনি প্যারোলে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে আসেন । আগামী ১৮ জুলাই রতন শিকদারের ফের প্রেসিডেন্সি জেলে ফিরে যাওয়ায় কথা ছিল ।
রঞ্জন শিকদারের দাবি, বাবা “টিবি“ রোগের পাশাপাশি ’শ্বাসকষ্টেও’ ভুগছিলেন। টিবির চিকিৎসার জন্যে বাবাকে কিছুদিন আগে জামালপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ রেফার করেনি এই অজুহাত দেখিয়ে জামালপুর(Jamalpur) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর বাবার চিকিৎসা করতে চাননি। প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠালে গত শুক্রবার বাবাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাই। তবে বুধবার থেকে বাবার অসুস্থতা বাড়ে। এদিন বাড়িতেই সংজ্ঞা হারান। জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন-রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত, মমতা-শুভেন্দু দ্বৈরথ, টানটান উত্তেজনায় আজ শুরু বিধানসভা
জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার জানিয়েছেন, 'রতন শিকদার প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন । প্যারোলে ছাড়া পেয়ে কিছুদিন আগে তিনি বাদলাগরিয়া গ্রামে নিজের বাড়িতে এসেছিলেন । এদিন ব্লক হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে জানান।' বিডিও আরও বলেন মহকুমা শাসকের নির্দেশ মত একজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে তিনি মৃত ব্যক্তির দেহের সুরতহাল (ইনকোয়েস্ট )করেন । ইনকোয়েস্ট করার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্যে মৃত ব্যক্তির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর জন্যে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)