মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই কাজ, চলছে চোলাইয়ের ঠেক ভাঙার অভিযান
যৌথ অভিযানে ৪ টি বড়সড় চোলাইয়ের কারখানা সংলগ্ন এলাকায় মাটি খুঁড়ে, জঙ্গল ও চা বাগানের নালার ভেতরে লুকিয়ে রাখা জায়গাগুলি থেকে দশ হাজার লিটারের বেশি চোলাই উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলি নষ্ট করেছে আবগারি দফতর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নদিয়ার শান্তিপুরে বিষমদকাণ্ডের পরই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। বিভিন্ন চোলাইয়ের ঠেকে অভিযান চালাচ্ছে পুলিস। জলপাইগুড়ির পর বুধবার দিনভর রাজগঞ্জের বৈকন্ঠপুরের জঙ্গল ও সংলগ্ন শিকারপুর চা বাগানে অভিযান চালায় রাজগঞ্জের বেলাকোবা ফাঁড়ির পুলিশ। সঙ্গে ছিল জলপাইগুড়ি আবগারি দফতরের বিশাল বাহিনী।
আরও পড়ুন: চোলাইয়ে কড়া রাজ্য, এবার নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হল স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকেও
যৌথ অভিযানে ৪ টি বড়সড় চোলাইয়ের কারখানা সংলগ্ন এলাকায় মাটি খুঁড়ে, জঙ্গল ও চা বাগানের নালার ভেতরে লুকিয়ে রাখা জায়গাগুলি থেকে দশ হাজার লিটারের বেশি চোলাই উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলি নষ্ট করেছে আবগারি দফতর।
আবগারি দফতরের আধিকারিক অমিতা লেপচা জানান, জঙ্গলের ভেতরে থাকা ৪ টি অবৈধ মদের ভাটি নষ্ট করলাম। উদ্ধার হওয়া দশ হাজার লিটার মদ নষ্ট করলাম। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার হয়নি। তবে এই অভিযান চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন আবগারি দফতরের আধিকারিক।
আরও পড়ুন: চলছে অভিযান, একের পর এক চোলাইয়ের ঠেক ভাঙল পুলিস
প্রসঙ্গত, চোলাই বিক্রি রুখতে কড়া পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকারকে। নজরদারি চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে। এবার থেকে প্রত্যেকে জেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে চোলাই বিক্রির উপর নজর রাখবে সেই এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি। কোনও খবর পেলেই আবগারি দফতরকে জানাবে তারা।