বিয়ে করতে চেয়ে প্রেমিকাদের অপহরণ, পুলিসের জালে তিন কিশোর
অনিমেষের বাড়ি রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায়। বাকি দুজন সোনারপুরেরই বাসিন্দা। এরা এলাকাতে থেকেই তিন কিশোরীর বাড়ির উপরে নজরদারি চালাত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এক বছরের ভালোলাগা। একাধিকবার সেকথা জানিয়েছিল। কিন্তু লাভ হয়নি। তিন বন্ধুর ভালো লেগেছিল একই পাড়ার তিন কিশোরীকে। তাদেরই বিয়ে করতে চেয়েছিল, কিন্তু বিয়ের প্রস্তাবে আবার রাজি ছিল না তিন কিশোরী। তাই শুরু করেছিল নতুন ছক কষা। ওই তিন কিশোরীকে অপহরণ করে বিয়ে করার প্ল্যান ছিল তিন নাবালকের। প্ল্যানমাফিক অপহরণও করে ফেলেছিল। কিন্তু ‘শুভ মুহুর্ত’-এর আগেই ভেস্তে গেল প্ল্যান। বিয়ে করার আগেই পুলিসের হাতে ধরা পড়ে যায় তিন কিশোর। ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুরের খুড়িগাছি এলাকায়।
আরও পড়ুন: শিক্ষক দাদা বিয়ে দিচ্ছিলেন না দুই বোনের, প্রতিবেশীরা রাতে ওই বাড়ির জানলা দিয়ে উঁকি দিতেই দেখলেন...
৩১ অগাস্ট থেকে নিখোঁজ ছিল সোনারপুরের তিন কিশোরী। সেদিন সাইবার ক্যাফে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোয় তারা। তারপর আর ফেরেনি। সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে তিন কিশোরীর পরিবার। তদন্তে নামে পুলিশ। নাবালিকাদের কেউই মোবাইল ফোন ব্যবহার না করায় তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। লোকাল সোর্স ব্যবহার করে তিন যুবক- অনিমেষ সাঁপুই, রাজদীপ প্রামানিক ও সঞ্জীব সর্দারের সন্ধান পায় পুলিশ।
অনিমেষের বাড়ি রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায়। বাকি দুজন সোনারপুরেরই বাসিন্দা। এরা এলাকাতে থেকেই তিন কিশোরীর বাড়ির উপরে নজরদারি চালাত। তিন কিশোরীকে বিয়ে করতে চেয়েছিল ওই তিন যুবক। সেই কারণেই গত ৩১ অগাস্ট তাদের অপহরণ করে বলে অভিযোগ।
তদন্তে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন সোনারপুরের খুড়িগাছি এলাকায় একটি বাড়িতে তিন কিশোরীকে রেখে দিয়েছিল তারা। স্থানীয় সূত্রে খবর নিয়ে পুলিস ওই বাড়িতে তল্লাশি চালায়। অভিযুক্ত তিন কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে নাবালিকা অপহরণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তিন নাবালিকাকে উদ্ধার করে হোমে পাঠিয়েছে পুলিশ।