নিজস্ব প্রতিবেদন : ঠাকুরনগরের প্রধানমন্ত্রী কোনও রাজনৈতিক সভা করতে আসছেন না। মতুয়াদের একটি ধর্মসভায় অংশ নিতে আসছেন। এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি। তাদের বক্তব্য সভায় বিজেপির কোনও পতাকা থাকবে না। পাশাপাশি, রাজ্য বিজেপি দাবি করেছে প্রশাসনের একাংশ সভা বানচালের চেষ্টা করছে। তবে তারা মাঠ পেয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঠাকুরনগরে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। সভার জন্য প্রথমে ঠাকুরবাড়ির মেলার মাঠকে স্থির করা হয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত সভার মাঠ বদল হয়। পিছু হঠেন সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর। স্থির হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা ঠাকুরবাড়ির মেলার মাঠে হবে না। পরিবর্তে যে মাঠে প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামার জন্য হেলিপ্যাড তৈরি করার কথা, প্রাথমিকভাবে সেখানেই মোদির সভা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন, আপনার টাকা পাচার হয়ে যাবে পাকিস্তানে! এই নাম্বার থেকে মেসেজ পেলে সাবধান
এদিন দুপুরে মুকুল রায় ঠাকুরবাড়িতে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। তারপর মুকুল রায় ও শান্তনু ঠাকুর হেলিপ্যাডের মাঠ পরিদর্শনে যান। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন এসপিজির প্রতিনিধিরাও। মাঠ পরিদর্শনের পর শান্তনু ঠাকুর জানান, "আমরা কোনও অশান্তি চাই না। ঠাকুরবাড়িতে প্রধানমন্ত্রী আসবেন আগামী মাসের ২ তারিখে । ঠাকুরবাড়ির অন্য মাঠে আমাদের মতুয়া সম্মেলন হবে। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন।'
আরও পড়ুন, ওড়িশার নম্বর প্লেট, বার বার গাড়ি বদল, সিবিআইকে ধোঁকা দিতে ছক শ্রীকান্ত মোহতার
ঠাকুরনগরে গিয়ে বড়মা বীণাপানি দেবীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেখা করতে পারেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর। যা নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। "বড়মা যদি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে না চান , তখন কী করবেন প্রধান মন্ত্রী? যদি দরজাতে খিল দিয়ে বসে থাকেন, তখন কি দরজা ভেঙ্গে ঢুকবেন প্রধানমন্ত্রী?' প্রশ্ন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। এদিন ঠাকুরনগরের ঠাকুর বাড়িতে রূদ্ধদ্বার বৈঠক, তারপর বিজেপির প্রতিনিধি দলের প্রধানমন্ত্রী সভাস্থল ঘুরে দেখার প্রসঙ্গে গাইঘাটায় বসে এই মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী।
ঠাকুরনগরে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল ঘিরে বিতর্ক, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মাঠ বদল