Ajit Maity: "১৫ দিনের মধ্যে শুধরে যান, নাহলে....", হুঁশিয়ারি বিধায়কের

 "আবাস যোজনার দুর্নীতিতে আমাদের দলের অনেকেও যুক্ত... যারা টাকা নিয়েছেন ফেরত দিয়ে দিন।"

Updated By: Jul 9, 2022, 08:14 PM IST
Ajit Maity: "১৫ দিনের মধ্যে শুধরে যান, নাহলে....", হুঁশিয়ারি বিধায়কের
নিজস্ব চিত্র

চম্পক দত্ত: "১৫ দিনের মধ্যে শুধরে যান, নাহলে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে।" গড়বেতার তিনটি ব্লকের রিভিউ মিটিং দুর্নীতি নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি তথা পিংলার (Pingla) বিধায়ক তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অজিত মাইতি (Ajit Maity)। গড়বেতা-১, ২, ৩ ব্লকের রিভিউ মিটিংয়ে জেলাশাসক আয়েশা রানিও সতর্ক করেন দুর্নীতি প্রসঙ্গে। 

প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে গড়বেতা এলাকায় বেআইনিভাবে গাছ কেটে পাচার করা সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে মেদিনীপুরে প্রশাসনিক সভাতে ক্ষোভ উগরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই নেওয়া শুরু হয়েছে একাধিক প্রশাসনিক পদক্ষেপ। শুক্রবার বিকেলে গড়বেতার তিনটি ব্লকের আধিকারিক এবং জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে রিভিউ মিটিং হয়। মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি, গড়বেতার বিধায়ক উত্তরা সিংহ হাজরা, জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি তথা পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি সহ অন্যান্যরা। 

সেই বৈঠকেই দুর্নীতির বিষয়ে অজিত মাইতি হুঁশিয়ারি দেন, "সাবধান হয়ে যান। কোনওরকম দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। গড়বেতার তিনটি ব্লক থেকে নানা রকম অভিযোগ আসছে। গাছ কাটা, আবাস যোজনায় দুর্নীতি ইত্যাদি।  কোনও প্রধান গাছ কাটার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। বন দফতর ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের অনুমতি নিন। এই তিনটি ব্লকে কাজ ও টাকাও সমানভাবে বিতরণ হচ্ছে না। আবাস যোজনার দুর্নীতিতে আমাদের দলের অনেকেও যুক্ত। তাঁদের বলে দিচ্ছি, যাঁরা এখনও গ্রেফতার হননি, ১৫ দিনের মধ্যে সাবধান হয়ে যান। শুধরানোর সময় দিলাম। যারা টাকা নিয়েছেন ফেরত দিয়ে দিন। যা কাজ বাকি আছে ১৫ দিনের মধ্যে করে দিন, নাহলে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেওয়া হবে।" বৈঠক থেকে বনদফতরের স্থানীয় আধিকারিকদেরও তুলোধুনা করতে ছাড়েননি অজিত মাইতি ৷

পাশাপাশি জেলাশাসক আয়েশা রানি বলেন, আইন-কানুন মেনে সমস্ত কাজ করতে হবে। গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজ সময় মতো করে দিতে হবে। পঞ্চায়েত, বিডিও অফিস বা বিএলআরও অফিস, যেখানেই মানুষ তাদের সমস্যা নিয়ে আসুক, তাঁদের সঙ্গে কোনওভাবে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না। তাঁদের কী সমস্যা রয়েছে তা শুনতে হবে। “জিরো টলারেন্স টু কোরাপশন” নীতি নিতে হবে। কেউ যদি দুর্নীতিতে যুক্ত থাকে, সে যে-ই হোক, ছোট-বড় কিছু দেখা হবে না। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বিষয়ে বিডিওদেরও চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। 

আরও পড়ুন, JMB Linkman Madrasah Teacher: কীভাবে জঙ্গিদের সাহায্য করে সে? জেরায় চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ধৃত মাদ্রাসা শিক্ষকের

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)    

.