Poush Mela, Visva-Bharati: বিশ্বভারতীর মাঠে পৌষমেলার অনুমতি দিল না হাইকোর্ট...
মামলা ফিরিয়ে দিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। বিশ্বভারতীর মাঠ পাওয়া না গেলে, মেলার জন্য বিকল্প জায়গার ব্য়বস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিল রাজ্য।
রণয় তেওয়ারি: বিশ্বভারতীর মাঠে পৌষমেলার অনুমতি দিল না হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে 'এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। বিশ্বভারতীই পুনর্বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে'। মামলা ফিরিয়ে দিল আদালত। মেলার জন্য় বিকল্প ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য সরকার।
বিশ্বভারতীর অন্যতম বড় উৎসব দুটি। পৌষমেলা আর বসন্ত উৎসব। করোনা কারণে দু'বছর মেলা বন্ধ ছিল। এবছর কী হবে? পৌষমেলা আয়োজনের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এমনকী, রাজ্য সরকারের সহযোগিতা চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যসচিবকে। কিন্তু শেষপর্যন্ত মেলার জন্য মাঠ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
কেন? পৌষমেলায় পরিবেশ দূষণের অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা করেছেন গুরুমুখ জেঠওয়ানি নামে এক ব্যক্তি। শান্তিনিকেতনেরই বাসিন্দা তিনি। সেই মামলায় আদালতের বিশ্বভারতী তরফে দাবি করা হয়েছে, গত কয়েক বছর শর্তসাপেক্ষে পৌষমেলার অনুমতি দিয়েছিল পরিবেশ আদালত। কিন্তু স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আরও যাঁরা মেলার সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা সেই শর্ত মানতে আগ্রহ দেখান না। ফলে পরিবেশ আদালতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই। সেকারণে এবার পৌষমেলার জন্য মাঠ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গভীর সমপ্রেমে বিয়েরও সিদ্ধান্ত, পরিবারের 'ব্ল্যাকমেইল', মালদায় ছাত্রীমৃত্যুতে চাঞ্চল্যকর মোড়!
গতবছরও বিশ্বভারতীর মাঠে মেলা করা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। রাজ্য সরকার সহযোগিতা বোলপুরের ডাতবাংলো মাঠে পৌষমেলার আয়োজন করেছিল বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ ও বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি। হাইকোর্টে শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের আর্জি ছিল, বিশ্বভারতীর আপত্তি থাকলে পৌষমেলা হবে না। কিন্তু জেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য মেলা করা যায়। প্রয়োজনে সবপক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে পথ বাতলে দিক আদালতই। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ হয়ে গেল।
এদিকে বিশ্বভারতীতে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে পড়ুয়াদের আন্দোলন চলছে এখনও। আন্দোলনকারীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্য়ালয়ে অনৈতিক কাজ হচ্ছে। এমনকী, খোদ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীও নাকি বিভিন্ন বেনিয়মের সঙ্গে যুক্ত! যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। স্রেফ পরীক্ষার বসতে না দেওয়া নয়, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পুনরায় ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না পড়ুয়াদের। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।