Bulu Chik Baraik: দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি, গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে মন্ত্রী
চার বছর আগে উনিই রাস্তার কাজ শুরু হবে বলে নারকেল ফাটিয়েছিলেন। কিন্তু আজও সেই রাস্তার কাজ শুরু না হওয়ায় তারা এদিন মন্ত্রীর কাছে রাস্তাটি নির্মাণ করার দাবি জানান। এই বিষয়ে মন্ত্রী জেলা শাসকের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
অরূপ বসাক: দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি পালনে গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে মন্ত্রী। দিনভর দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি ভাল ভাবে পালিত হলেও সন্ধ্যার পর ক্রান্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের গঙ্গাদেবি এলাকায় কর্মসূচি পালন করতে এসে গ্রাম বাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেনী কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী বুলু চিক বড়াইক ও তার সঙ্গে থাকা অন্যান্য নেতৃত্ব।
এদিন মন্ত্রী, ক্রান্তি ব্লক তৃণমুল সভাপতি মহাদেব রায় সহ অন্যান্যরা ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি পালন ও জন সংযোগ যাত্রা সহ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনছিলেন। সেই কর্মসূচি পালনে গিয়েই ক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা।
আরও পড়ুন: Ayan Shil | Sweta Chakraborty: একই পঞ্চায়েতে চাকরি করতেন অয়ন-শ্বেতা, সেই সময়েই দুর্নীতিতে হাতেখড়ি?
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, চার বছর আগে গঙ্গাদেবি থেকে করইবারি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য বর্তমান মন্ত্রী ও তৎকালীন বিধায়ক ঘটা করে নারকেল ফাটিয়ে রাস্তাটির নির্মাণ কাজের কথা ঘোষণা করেন। রাস্তার কাজ শুরু করার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত সেই রাস্তার নির্মাণ কাজ শুরু না হওয়ায় এদিন মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন একাধিক বাসিন্দা।
তারা জানান চার বছর আগে উনিই রাস্তার কাজ শুরু হবে বলে নারকেল ফাটিয়েছিলেন। কিন্তু আজও সেই রাস্তার কাজ শুরু না হওয়ায় তারা এদিন মন্ত্রীর কাছে রাস্তাটি নির্মাণ করার দাবি জানান। এই বিষয়ে মন্ত্রী জেলা শাসকের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: সরকারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে ৬ লাখ আত্মসাৎ তৃণমূল নেত্রীর!
মহাদেব রায় বলেন, ‘বাস্তবে ঠিকাদারি সংস্থাগুলির জন্য কাজগুলি হয়নি। এই রকম ভাবে ব্রিজ, রাস্তার কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়ার পরেও একাধিক ঠিকাদারি সংস্থা কাজ শুরু করেনি। এতেই সমস্যা হচ্ছে। তবে দ্রুত এই রাস্তার কাজ শুরু হবে।‘
এই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী। তিনি বলেন, ‘এভাবে কাজ না করে গ্রামে গেলে ক্ষোভের সামনে তো পড়তেই হবে। এরপর তৃনমুল নেতারা গ্রামেগঞ্জে গেলে মানুষের তাড়া খাবে।‘