Ayan Shil | Sweta Chakraborty: একই পঞ্চায়েতে চাকরি করতেন অয়ন-শ্বেতা, সেই সময়েই দুর্নীতিতে হাতেখড়ি?

বলাগড়ের ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে একশ দিনের কাজের স্কিল টেকনিক্যাল পারসন হিসাবে কাজ করতেন নৈহাটির শ্বেতা। সেই পঞ্চায়েতেই নির্বাহী সহায়ক বা এসিস্টেন্ট এক্সিকিউটিভ হিসাবে চাকরি করতেন অয়ন শীল। দুই জনের পরিচয় সেখান থেকেই জানিয়েছেন শ্বেতা।

Updated By: Mar 22, 2023, 04:33 PM IST
Ayan Shil | Sweta Chakraborty: একই পঞ্চায়েতে চাকরি করতেন অয়ন-শ্বেতা, সেই সময়েই দুর্নীতিতে হাতেখড়ি?

বিধান সরকার: একই পঞ্চায়েতে চাকরি করতেন অয়ন এবং শ্বেতা। শ্বেতা পঞ্চায়েতে চাকরি ছাড়ার দুই বছর পরে চাকরি ছাড়েন অয়ন। কাজে অনিয়মিত হওয়ায় শোকজ করা হয়েছিল অয়নকে। সরকারি দফতরে নিয়োগের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন অয়ন শীল। তার বাড়ি ও অফিস থেকে মিলেছে ওএমআর শিট এবং চাকরির নথি। প্রমোটিং ব্যবসা থেকে পেট্রোল পাম্প, টলিউড বিভিন্ন দিকে বিনিয়োগ করলেও নিজের এলাকায় দেনা মেটাননি বলেই অভিযোগ।

বলাগড়ের ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে একশ দিনের কাজের স্কিল টেকনিক্যাল পারসন হিসাবে কাজ করতেন নৈহাটির শ্বেতা। সেই পঞ্চায়েতেই নির্বাহী সহায়ক বা এসিস্টেন্ট এক্সিকিউটিভ হিসাবে চাকরি করতেন অয়ন শীল। দুই জনের পরিচয় সেখান থেকেই জানিয়েছেন শ্বেতা। পঞ্চায়েতের উপ প্রধান শ্যামা প্রসাদ রায় ব্যানার্জি জানান, অয়নের গাড়িতে যাতায়াত করতেন শ্বেতা। তবে অয়ন অফিসে অনিয়মিত হওয়ায় সমস্যা হত পঞ্চায়েতের কাজে। এমনও হয়েছে দিনের পর দিন অফিসে জাননি অথচ বেতন তুলেছেন অয়ন।

সেই বিষয়ে জানিয়ে বলাগড় বিডিও-কে চিঠি দেওয়া হয়েছিল অয়ন শীলকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। বিডিও তাকে শোকজ করেছিলেন। এরই মধ্যে শ্বেতাকে সোমরা বাজার পঞ্চায়েতে বদলি করা হয়। সেখানে যোগ না দিয়ে ২০১৮ সালে চাকরি ছেড়ে দেন শ্বেতা।

তারপরেও অয়ন ডুমুরদহ পঞ্চায়েতে কাজ করেছেন। ২০২০ সালে অয়নও চাকরি ছাড়েন।

আরও পড়ুন: সরকারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে ৬ লাখ আত্মসাৎ তৃণমূল নেত্রীর!

ব্যান্ডেলের তৃনমূল নেতা শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় দুই কোটি টাকারও বেশি তুলে অয়নকে দিয়েছিলেন চাকরির জন্য। সুইসাইড নোটে সেটা লিখেও যান তিনি। ২০১৮ সালে অক্টোবর মাসে নিজের ছেলেকে নিয়ে আত্মঘাতী হন শ্রীকুমার। সময় বলছে পঞ্চায়েতে চাকরি করার সময়েই নিয়োগ দূর্নীতিতে হাত পাকিয়েছিলেন অয়ন।

বছর তিনেক আগে তার ছেলের জন্মদিনে কেটারিং এর কাজ করেছিলেন অয়নের প্রতিবেশি বলরাম দাস। এক লক্ষ বারো হাজার টাকার চুক্তি হলেও মাত্র কুড়ি হাজার টাকা দিয়েছিলেন তিনি। বিরানব্বই হাজার টাকা আর দেননি। বলরাম জানান বহু বার চাইলেও টাকা পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: Abhijit Gangopadhyay: ছোটোদের পেনসিলের আঁচর, সাদা কাগজে ফুটে উঠলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

অন্য দিকে অয়ন এবিএস টাওয়ার যে জমিতে তৈরী করেন সেই জমির অংশিদার অয়নের বন্ধু বিশ্বনাথ মোদক কুড়ি লাখ টাকা দিয়েছিলেন। সতেরো লাখ দিলেও এখনো তিন লাখ টাকা ফেরত পাননি।

অয়ন যে বহুতল তৈরী করেছিলেন সেখানে চল্লিশটি ফ্ল্যাট রয়েছে। সেই ফ্ল্যাট মাত্র কয়েকটা বিক্রি হয়েছে। সেই ফ্ল্যাটের একটিতে কিছুদিন ছিলেন শ্বেতা।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

 

.